কাউন্সিলের প্রস্তুতি শুরু আওয়ামী লীগের

অক্টোবরে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতি হিসেবে এরইমধ্যে তৃণমুলে সাংগঠনিক সফর শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এসব সফরের মধ্য দিয়ে নেতারা তুলে আনছেন তৃণমুলে সংগঠনের প্রকৃত চিত্র। বিএনপি-জামায়াতের অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতেও তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।

ঈদের আগে থেকেই জেলায় জেলায় চলছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফর। এসব সফরে সাংগঠনিক ৮টি টিমে ভাগ হয়ে তৃণমুলের নেতাদের কথা শুনছেন নেতারা। সমাধান করছেন দীর্ঘদিনের কোন্দলের। একটি ফরমও পূরণ করতে দেয়া হচ্ছে তৃণমুল নেতাদের যেখানে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি জানতে চাওয়া হচ্ছে। একই সাথে চলছে কর্মীদের তথ্য ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্তির কাজও।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, উপজেলা পর্যায়ের নেতারা ইউনিয়ন পর্যায়ে যাচ্ছেন কি না, কর্মী ও পরামর্শক বৈঠক করছে কি না, সংসদ সদস্যদের সাথে যোগাযোগ আছে কি না এসব তথ্য সংগ্রহের মধ্য দিয়ে আমরা এমন একটি যায়গায় যাচ্ছি যাতে সমস্ত বাংলাদেশের চিত্র আমাদের সামনে থাকে। আমরা এসব তথ্য দপ্তরে দিচ্ছি, নেত্রী আবার এগুলো পর্যালোচনা করছেন।

দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়া জেলাগুলোতে সম্মেলন করে নতুন কমিটি দেবার প্রস্তুতি চলছে। তবে অর্থের বিনিময়ে এসব কমিটিতে যেন বিএনপি-জামায়াতের অনুপ্রবেশকারীরা ঠাঁই না পায় সেজন্য সর্তকতা অবলম্বন করছে দল।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, পরপর তিনবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার কারণে অনেক জামাত বা বিএনপি নেতাকর্মীরা হতাশ। তারা নিজ নিজ এলাকায় যাতে নিজের ক্ষমতাটা ধরে রাখতে পারে, তাই আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। তৃণমূলের আওয়ামী লীগের একজন কর্মী কিন্তু কোন কিছুর মূল্যে জামাতকে স্থান দিবে না। স্থান দিতে চাইবে কেন্দ্রের কিছু নেতারা টাকার বিনিময়ে।

অক্টোবরের মধ্যে দলকে সুসংগঠিত করে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের জন্য প্রস্তুত করাই মূল লক্ষ্য বলেও জানান এ নেতারা।

লেটেস্টবিডিনিউজ/এসকেবি