খরচ কমাতে আওয়ামী লীগের সব সম্মেলন হবে এক মঞ্চে

এবার খরচ কমাতে চার সহযোগী সংগঠন ও আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে এক মঞ্চে। মঞ্চ, সাজসজ্জা, খাবারসহ আনুসাঙ্গিক ব্যয় কত হবে তা আগামী ৩ নভেম্বর জানা যাবে। সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত বিভিন্ন উপকমিটির কাছে বাজেট চাওয়া হয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির কার্যালয়ে অর্থ-উপকমিটির সঙ্গে ১০ টি উপকমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সহযোগী সংগঠনের বাজেট স্ব স্ব সংগঠন বহন করবে। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আগামী ২০-২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ, ৬ নভেম্বর কৃষক লীগ, ৯ নভেম্বর জাতীয় শ্রমিক লীগ, ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ২৩ নভেম্বর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কৃষক লীগ তাদের মঞ্চের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।

বৈঠকে অর্থ উপকমিটির আহ্বায়ক কাজী জাফরউল্লাহ, অভ্যর্থনা উপকমিটির মোহাম্মদ নাসিম, সাজসজ্জা উপকমিটির জাহাঙ্গীর কবির নানক, গঠনতন্ত্র উপকমিটির ড. আবদুর রাজ্জাকসহ উপকমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অর্থ উপকমিটির আহ্বায়ক কাজী জাফরউল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সম্মেলন সামনে রেখে সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি এগিয়ে নিতে আমরা বৈঠকে বসেছিলাম। সেখানে বিভিন্ন উপকমিটির নানা পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে বাজেট চাওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে আমরা ১০ টি উপকমিটিকেই তাদের পরিকল্পনা ও ব্যয়ের প্রস্তাব দিতে বলেছি। তাদের প্রস্তাব হাতে পেলে সম্মেলনের ব্যয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন সদস্য জানান, ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন, এর আগে নভেম্বরে সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সম্মেলন। ফলে অপচয় না করে ব্যয় কমাতে আমরা একই মঞ্চে সবগুলো সম্মেলন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছি। তবে মঞ্চ এক থাকলেও সংগঠনগুলো সম্মেলনের দিন নিজেদের ইচ্ছামতো সাজসজ্জা করবে। আগামী ৭ দিনের মধ্যেই উপকমিটিগুলো আমাদের জানাবে- কারা কী করতে চায়, কত মানুষকে আপ্যায়ন করতে চায়, কতগুলো পোস্টার ছাপতে চায়। উপকমিটিগুলোর প্রস্তাব পেলে আমরা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে এসব বিষয় চূড়ান্ত করব।’