সরকারের ভয়াবহ পরিণতি দেখছেন গয়েশ্বর

প্রধান বিচারপতিকে বাধ্য করে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এমন অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘এ যাত্রায় সরকার নিজেদের সফল ভাবলেও তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ।’

সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট আয়োজিত ‘সর্বোচ্চ আদালত ধ্বংসের নীল নকশার বিরুদ্ধে’ শীর্ষক প্রতিবাদ সভায় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা এমন মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার কিংবা যে কোনো গ্রহণযোগ্য সরকারের নিশ্চয়তা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজপথে আন্দোলনের বিকল্প নেই।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে প্রক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে ছুটি দেয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে সরকার গোটা বিচার ব্যবস্থার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে।’

এসকে সিনহার ছুটির দরখাস্তে বানান ভুল এবং স্বাক্ষর জাল দাবি করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘২ অক্টোবর যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তাদের মনে রাখতে হবে আপাতত এ যাত্রায় সফল হলেও পরিণতি কিন্তু ভয়াবহ।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আর একতরফা নির্বাচন করতে পারবেন না। জনগণের আশা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচন করার যোগ্যতা শেখ হাসিনার নেই। কারণ তারা আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে পরাজিত হবে।’

বিএনপির নেতা গয়েশ্বর বলেন, ‘একটি নিরপেক্ষ ও সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার সৎ সাহস সরকারের নেই। এখন পরাজয়ের আশঙ্কা সরকারের মনে কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন জনগণের মাঝে নির্বাচন নিয়ে কোনো উৎসাহ উদ্দীপনা নেই। কারণ তারা ভোট দিতে পারেনা। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হলে জনগণ সেই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবে না। যেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনা, সেই নির্বাচনে বিএনপি যাবে কেনো? সুতরাং এখন নির্বাচন নয়। এখন একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত হবে এবং সকল রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবীরা নির্বাচনকালী সহায়ক সরকারের ব্যাপারে ঐক্যমত হবে তারপর নির্বাচন। এর আগে নির্বাচন নিয়ে আর কোনো কথা নয়।’

সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়ার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, মো. আবদুল আউয়াল খান ও কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ০৯ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ