বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে জনগণ হাসে: সেতুমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করে বলেন যে, বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে জনগণ হাসে।

তিনি বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে সরাতে না পারলে স্বাধীনতা রক্ষা করা যাবে না, বিএনপি মহাসচিবের এমন কথা শুনলে জনগণ এখন হাসে।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) আয়োজিত বিশেষ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা এসেছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে, দেশের প্রতিটি অর্জনের সাথে মিশে আছে আওয়ামী লীগ। তাই তাদের মুখে স্বাধীনতা, আন্দোলনের কথা শুনলে জনগণ হাসে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনের হাঁক-ডাক আর তর্জন-গর্জনই শুধু শোনা যায়, কিন্তু বর্ষণ দেখা যায় না, দেখা যাবেও না।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সরকার হঠানোর যে ঘোষণা দিয়েছেন সেই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা কর্মসূচি আর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে থাকেন। তাদের হাঁকডাক অনেক শুনেছে জনগণ। তারা আন্দোলন করে দলীয় অফিসের সামনে নিজ দলের নেতাকর্মীদের মাথা ফাটিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি প্রতি বছর ঈদের পরে আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দেয় কিন্তু জনগণ কত ঈদ যে পার করলো, আন্দোলন আর দেখে না, রাজপথ শূন্যই থাকে। বিএনপি আন্দোলনের দ্বার রুদ্ধ করে তারা প্রেস ব্রিফিংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

বিএনপির আন্দোলন পারস্পরিক অবিশ্বাস, কলহ, মিথ্যাচার আর নেতিবাচক রাজনীতির চক্রে আবদ্ধ, তাদের আন্দোলনের ডাক এখন মিথ্যাবাদী রাখালের গল্পের মতো বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

বিআরটিএকে সত্যিকার অর্থে সেবামুখী প্রতিষ্ঠান হিসেব গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার সেবা সহজীকরণে এবং গ্রাহকদের সুবিধার্থে দেশের যে কোন সার্কেল অফিস থেকে যানবাহনের ফিটনেস সনদ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বিআরটিএকে সত্যিকার অর্থে সেবামুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।