হাটহাজারীতেই চিরনিদ্রায় শায়িত জুনায়েদ বাবুনগরী

নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে হেফাজতে ইসলামের সদ্য প্রয়াত আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসার কবরস্থানেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার ( ১৯ আগস্ট) রাত ১১টা ২০ মিনিটে হাজারো ভক্ত, ছাত্র শিক্ষক ও মুসল্লীদের অংশগ্রহণে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসায় তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন হেফাজতে ইসলামের উপদেষ্টা জুনায়েদ বাবুনগরীর মামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী।

শুরু থেকেই দাফন নিয়ে তৈরী হয় ধোঁয়াশা। মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকরা চেয়েছিল বাবুনগরীর মরদেহ হাটহাজারী মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করতে ও পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী জানানো হয় নিজগ্রামে দাফনের। এ নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠক হয়। শুরুতে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দাফনের কথা থাকলেও সবশেষ গ্রামের বাড়িতে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানাজা শেষে কবরস্থানের মূল ফটকের সামনে বাবুনগরীর দাফন নিয়ে পরিবারের সদস্য ও ভক্তদের হৈচৈ করতে দেখা যায়।

পরে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত মতে হাটহাজারী মাদ্রাসা কবরস্থানে বাবুনগরীকে দাফন করা হয়। এর আগে জানাজা ও দাফনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আলেম ও মুসল্লীরা অংশগ্রহণ করেন।

দুপুরে বাবুনগরীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরলে তাকে শেষ বারের মতো দেখতে ও জানাজায় অংশ নিতে দুপুরের পর থেকেই হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন হেফাজত নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষ।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ছাড়াও জুনায়েদ বাবুনগরী দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষা সচিব ও শায়খুল হাদিস, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম নুরানী তালীমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মাসিক মুঈনুল ইসলামের প্রধান সম্পাদক ছিলেন।

উল্লেখ্য, ৬৭ বছর বয়সী বাবুনগরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। বুধবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। পরে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে ৫ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।