\’সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না\’

আওয়ামী লীগের নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযানে জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের সদস্য না করতে নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন দলের সাধারন সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন- আমাদের টার্গেট হচ্ছে নতুন যারা ভোটার হয়েছে তারা। শনিবার সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট ছাত্রলীগের খুনোখুনির প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন- যারা খুনী, যারা অপরাধী তাদের বিচার হতেই হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন- প্রশাসনকে বলেছি, তারা যেনো খুনি ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসে।
নতুন সদস্য সংগ্রহে এবার আওয়ামী লীগের মুল টার্গেট হচ্ছে নারী ভোটার। দেশের জনগোষ্ঠির অর্ধেক হচ্ছে নারী, তাই সদস্য সংগ্রহের গুরুত্বপূর্ণ টার্গেট হচ্ছে নারীরা। এছাড়া দ্বিতীয় টার্গেট হচ্ছে নতুন ভোটাররা। নতুনদের দলের সদস্য করতে হবে। অফিসে বসে সদস্য ফরম পুরণ বা কাউকে সদস্য করা যাবে না। ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে আওয়ামী লীগের সদস্য করতে হবে। কোন চিহ্নিত সন্ত্রাসী, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি, চিহ্নিত চাঁদাবাজ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। এই বিষয়টিকে সামনে রেখে সদস্য সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন- দুই মাসের ছুটি নিয়ে সাড়ে তিনমাস পর খালেদা জিয়ে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরলে তার নেতাকর্মীরা রাস্তা বন্ধ করে, মানুষকে কষ্টের মধ্যে রেখে সংবর্ধনার আয়োজন করে। এতে সাধারণ মানুষ বিরক্ত হয়েছে। তারা বলছে এখনই খালেদা জিয়ার নেতাকর্মীরা রাস্তাঘাট দখল করা শুরু করেছেন, ক্ষমতায় গেলে তারা আবার হাওয়া ভবনের দুর্নীতি শুরু করবে।
তিনি আরো বলেন- লন্ডনে বসে খালেদা জিয়া যেসব নীল নকশা করেছেন এর কোনটাই বাস্তবায়ন হবে না। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিএনপি উৎফুল্ল ছিল। তারা মনে করেছিল সরকার এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবে না। কিন্তু মমতা দিয়ে ১০ লাখ মানুষকে শেখ হাসিনা আশ্রয় দিয়েছেন এবং তাদের দেশের মানুষের সহায়তায় তাদের সকল সুবিধা দিচ্ছেন। দেশের জনগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছে। তাই ক্ষমতায় যাওয়ার যে দিবাস্বপ্ন বিএনপি দেখছে কোনদিনই তা বাস্তবে রূপ নেবে না।

মেয়র পদে মনোনয়নের ব্যপারে মন্ত্রী বলেন- ‘আমরা মেয়র পদে মনোনয়ন দেব। মহানগরের মধ্যে যিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য তাকেই আমরা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেব। আর আমরা নিজেদের প্রার্থী ছাড়াও প্রতিপক্ষের প্রার্থীর ব্যপারে খবর নিচ্ছি। মনোনয়ন নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি করা যাবে না। মনে রাখতে হবে আমাদের প্রতীক হচ্ছে নৌকা, আমাদের সকলকে নৌকার জন্য কাজ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান, জাতিংসঘ মিশনে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড.একেএম আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠানে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৬১৫ ঘণ্টা, ২১ অক্টোবর, ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি