আসলে বিরোধীদলীয় নেতাদের মানসিকতায় দুর্ভিক্ষ : ওবায়দুল কাদের

বিএনপি মহাসচিব নাকি দেশের চারিদিকে দুর্ভিক্ষ দেখতে পান- এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্ভিক্ষ আসলে দেশে নয়, দুর্ভিক্ষ বিএনপিসহ কিছু বিরোধীদলীয় নেতার মানসিকতায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার দপ্তরে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন। বিএনপির দৃষ্টিসীমা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা ক্ষমতায় যেতে অন্ধকারে চোরাগলি খোঁজে, তারা যে আলো দেখবে না এটাই স্বাভাবিক।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আলোহীন-আশাহীন নেতিবাচক রাজনীতির বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে বিএনপি। আর হতাশায় নিমজ্জিত বিএনপির নেতারা ঘরে বসে বসে দুর্ভিক্ষের কল্পকাহিনি বানাচ্ছেন।

মানুষ খেয়ে-পরে ভালো আছে এবং দেশের উন্নয়ন ও অর্জনে জনগণ খুশি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্জনের গল্প বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে এখন প্রশংসিত; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি বিএনপি এসব দেখতে পায় না। তারা পূর্ণিমার রাতে অমাবশ্যার অন্ধকার দেখে।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দাবি করে বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপি এদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি করে আসছে। তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ ভালো করেই জানে বিএনপির ইতিহাস হত্যা, ষড়যন্ত্র, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিপীড়নের ইতিহাস এবং বন্দুক ও বুটের তলায় জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতা দখলের ইতিহাস।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি প্রতিহিংসার আগুনে ভস্মীভূত করেছিল ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ। বিএনপিসহ বিরোধীদলীয় কিছু নেতা শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে বলে তাদের আচার-আচরণে বিদ্বেষের সুর ফুটে উঠেছে।

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, গঠনমূলক সমালোচনা না করে তারা সংসদে ও সংসদের বাইরে অন্ধ বিদ্বেষে শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার শুরু করেছে।

আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসা ও নির্যাতন-নিপীড়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না বলেও উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ৭৫’র ১৫ আগস্টের নির্মমতা দেখেছে, দেখেছে ৩ নভেম্বরের অমানবিকতা। গ্রেনেড হামলাসহ ২০ বারের অধিক শেখ হাসিনাকে হত্যার অপপ্রয়াস চালাতে দেখেছে, দেখেছে ১৫ আগস্ট উৎসব করে কেক কাটা। আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে বারবার, হন্তারকদের চিনেও অগণতান্ত্রিক কিংবা বেআইনি কোনো পথে যায়নি আওয়ামী লীগ।