যৌবনে বঙ্গবন্ধুর প্রেমে পড়েছি, এরশাদকেও ভালোবেসেছি: কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘দেশ ও মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভালোবাসা ছিল সবকিছুর ঊর্ধ্বে। যৌবনে আমি বঙ্গবন্ধুর প্রেমে পড়েছি, পরে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকেও ভালোবেসেছি।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও পল্লীবন্ধুর ওপর সাধারণ মানুষের এখনো গভীর অনুরাগ আছে। এটি কাজে লাগিয়ে আমরা মানুষের সব অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।’

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় পার্টির (জাপা) ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে এ মতবিনিময় হয়। এসময় কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আজকে গণভবনের একজন কর্মচারীর যে সম্মান আছে, তা মন্ত্রী-এমপিদেরও নেই। সরকারি কর্মচারীরা এখন লাগামহীন।’

বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে শেখ হাসিনার প্রতি সাধারণ মানুষের যে প্রত্যাশা ছিল, বর্তমান সরকার মানুষের সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষের মর্যাদা ও অধিকার আদায়ের জন্যই এখন কট্টর বিএনপি ও কট্টর আওয়ামী লীগ থেকে সমদূরত্ব বজায় রেখে সব রাজনৈতিক শক্তিকে একই মোহনায় হাজির করতে হবে।’

এসময় জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, নির্বাচনের ওপর সাধারণ মানুষের কোনো আস্থা নেই। দেশের জনগণ মনে করছে, কারচুপি করতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করতে চাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করছে।

কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে এ কথা বলা যায়, একই নির্বাচন কমিশন নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারলেও দলীয় সরকারের অধীনে তা সম্ভব হয়নি।

জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টি এখন আর কারও জোটে নেই। কারও বি টিম হয়েও রাজনীতির মাঠে নেই। নিজস্ব রাজনীতি নিয়ে জাতীয় পার্টি এগিয়ে চলছে। আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে সাধারণ মানুষের দরজায় যাবে জাতীয় পার্টি।