প্রকৌশলীকে চড় মারা ঘটনায় নেতার কাছে দুঃখ প্রকাশ’ বানি আমিনের

মেহেরপুর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ বলেন, ‘চড় মারার ঘটনায় আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বানি আমিন। নেত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলায় তিনি তা সহ‍্য করতে পারেননি। তাই এমনটি ঘটেছেন। এমন করাটা যে ঠিক হয়নি, সেটা স্বীকার করেছেন তিনি।’

জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রকৌশলী ম ইনামুল হককে চড় মারার ঘটনায় মেহেরপুরের কৃষক লীগ নেতা বানি আমিন ক্ষমা চেয়েছেন বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ।

তিনি জানান, গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি তার (সাজ্জাদ) কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সর্বজন বিপ্লবী দলের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করছিলেন সংগঠনটির আহ্বায়ক ও প্রকৌশলী ম ইনামুল হক।

ব্যানার টানিয়ে ২৭ ডিসেম্বর অর্ধদিবস হরতাল পালনের আহ্বান জানাচ্ছিলেন ইনামুল এবং আরও তিন নেতা-কর্মী। হঠাৎ এক ব্যক্তি এসে প্রকৌশলীকে চড় মারেন। ওই সময় ওই ব্যক্তি বলছিলেন, ‘দেশ ধ্বংস করছে মানে? দেশ কই ধ্বংস হইছে?’

এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওর জেরে চড় মারা ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়।

চড় মারার বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল সোমবার বিকেলে বানি আমিন দেশের স্থানীয় এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছে সেখানে গিয়ে দেখি এক ব‍্যক্তি হাতে লিফলেট নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমন্ধে বাজে কথা বলছে। তা শুনে মাথা ঠিক রাখতে পারিনি, অজান্তেই তার ওপর হাত ওঠে গেছে। যদিও আমার এটা করা ঠিক হয়নি।’

মেহেরপুর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ জানান, বানি আমিন কৃষক লীগ করার আগে কাজিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। এ বছরের ২৫ জুলাই কৃষক লীগের কাউন্সিলে তিনি কাজিপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি এলাকায় সুপরিচিত মুখ।

তিনি আরও বলেন, ‘চড় মারার ঘটনায় আমার (ওয়াসিম) কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বানি আমিন। নেত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলায় তিনি তা সহ‍্য করতে পারেননি। তাই এমনটি ঘটেছে। এমন করাটা যে ঠিক হয়নি, সেটা স্বীকার করেছেন তিনি।’