প্রধান উপদেষ্টার গ্রিন সিগন্যালে এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সহায়তায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশ ছাড়তে পেরেছেন বলে অভিযোগ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয়ে স্মারকলিপি দেয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা এটা জানি, প্রধান উপদেষ্টার গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সহায়তায় ডামি রাষ্ট্রপতি পালিয়েছে। এ অবস্থায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারির কাছে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।’
এরআগে, প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যান গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। পরে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়ে স্মারকলিপি দেন।
সরকারের নিরপেক্ষতা রক্ষায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পাশাপাশি ছাত্র প্রতিনিধিদেরও পদত্যাগ দাবি করেন রাশেদ খান।
তিনি বলেন, সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে। একই সঙ্গে দুই ছাত্র উপদেষ্টাকেও পদত্যাগ করতে হবে। দুই জন ছাত্র উপদেষ্টা বজায় থাকলে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ছাত্র প্রতিনিধি থাকলে কোনোভাবেই নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।
এ সময় আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যেরও নিন্দা জানান গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না এটা আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত-প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। যদি আওয়ামী লীগের বিচার সরকার না করে, যদি ঐকমত্যের ভিত্তিতে মৌলিক সংস্থার না হয়, তাহলে আগামী আন্দোলন হবে জাতীয় সরকারের আদলে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের।
এ সময় তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলমান থাকবে।
