নুরুল হক পুরোপুরি সুস্থ নন, কিন্তু তাঁকে সুস্থ দেখানোর চেষ্টা চলছে: রাশেদ খান

নুরুল হক পুরোপুরি সুস্থ নন, কিন্তু তাঁকে সুস্থ দেখানোর চেষ্টা চলছে: রাশেদ খান

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, দলের সভাপতি নুরুল হক এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন। কিন্তু তাঁকে সুস্থ দেখানোর চেষ্টা চলছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বাগানবাড়ি গেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রাশেদ খান।

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নুরুল হকের শারীরিক অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। তাঁর মাথা, মুখমণ্ডল ও দাঁতে গুরুতর আঘাত রয়েছে। নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমে তাঁকে সুস্থ দেখানোর যে খবর প্রচার করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

নুরুল হকের চোখের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন রাশেদ খান। তিনি বলেন, নুরুল হকের দাঁতের অবস্থা নাজুক। তাঁর মাথার সংবেদনশীল স্থানে গুরুতর আঘাত আছে। গতকাল বুধবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এমনকি ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য তাঁকে সাহায্য নিতে হচ্ছে। তাঁর মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে মাথা ঘোরাসহ অন্যান্য জটিলতা রয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নুরুল হককে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান রাশেদ খান। তিনি বলেন, তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে উড়োজাহাজে তোলা ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁরা আশা করছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নুরুল হককে দেশের বাইরে নেওয়া হবে। মাথায় আঘাতের কারণে তাঁর উন্নত চিকিৎসা জরুরি। তাঁরা সিঙ্গাপুরে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন।

নুরুল হককে পরিকল্পিতভাবে হত্যাচেষ্টার লক্ষ্যে আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন রাশেদ খান। তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজে হামলাকারীদের চেহারা স্পষ্ট দেখা গেলেও এখনো কাউকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। এটা সরকারের জন্য লজ্জার।
এই হামলার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন রাশেদ খান। তিনি বলেন, সরকার শুধু দুঃখ প্রকাশ করে পার পাবে না। হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অনুমতি ছাড়া এ ধরনের হামলা সম্ভব নয়। তিনি যদি দায়িত্ব নিতে না চান, তবে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।

হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান গণ অধিকার পরিষদের এই নেতা। তিনি বলেন, পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে অনাস্থা থাকায় আদালতের মাধ্যমে মামলা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারও একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সিসিটিভি ফুটেজে হামলাকারীদের মুখ স্পষ্ট। তাঁরা সেনাপ্রধান ও পুলিশের আইজির কাছে অনুরোধ করছেন, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।

রাশেদ খান জাতীয় পার্টিকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা দেন। তিনি দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

রাশেদ খান বলেন, যেভাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, একইভাবে জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিস্ট শক্তির অন্য দলগুলোর সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

রাশেদ খান জানান, নুরুল হককে দেখতে ইতিমধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা হাসপাতালে এসেছেন। তাঁর খোঁজ নিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

 

Scroll to Top