শাপলা নয় বরং বেগুন, বালতিসহ ৫০টি প্রতীক থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) নিজেদের মার্কা বাছাই করতে বলল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংস্থাটির নির্বাচন সহায়তা শাখার উপসচিব মো. রফিকুল ইসলাম দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে এরই মধ্যে এসংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’ নামীয় দলটি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে, যা প্রাথমিক পর্যালোচনায় বিবেচিত হয়েছে। আবেদনপত্রে প্রতীক হিসেবে পছন্দের ক্রমানুযায়ী শাপলা, কলম ও মোবাইল ফোন উল্লেখ করা হয়।
যে প্রতীকগুলো থেকে এনসিপিকে তাদের মার্কা পছন্দ করতে বলা হয়েছে, সেগুলো হলো—আলমিরা; খাট, উটপাখি, ঘুড়ি, কাপ-পিরিচ, চশমা, দালান, বেগুন, চার্জার লাইট, কম্পিউটার, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টিফিন ক্যারিয়ার, টেবিল, টেবিল ঘড়ি, টেলিফোন, ফ্রিজ, তবলা, বক, মোরগ, কলম, তরমুজ, বাঁশি, লাউ, কলস, চিংড়ি, থালা, বেঞ্চ, লিচু, দোলনা, প্রজাপতি, বেলুন, ফুটবল, ফুলের টব, মোড়া, বালতি, কলা, বৈদ্যুতিক পাখা, মগ, মাইক, ময়ূর, মোবাইল ফোন, শঙ্খ, সেলাই মেশিন, সোফা, স্যুটকেস, হরিণ, হাঁস ও হেলিকপ্টার।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টি প্রথমে শাপলা, কলম ও মোবাইলে ফোনের যেকোনো একটি প্রতীক তাদের দেওয়ার জন্য আবেদন জানায়। তার কিছুদিন পর সে আবেদনে সংশোধন এনে শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলা দেওয়ার জন্য আবেদন করে।
এ নিয়ে ইসি সচিব গণমাধ্যমকে জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলে যে ১১৫টা প্রতীক আছে সেখানে শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলা নেই।
তাই শাপলা প্রতীক এনসিপি পাবে না।
এরপর দলটির একটি প্রতিনিধিদল ইসিতে এসে শাপলা প্রতীক না পেলে তা আদায় করে নেওয়ার হুমিক দেয়। তবে সে হুমকিকে উড়িয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতারা অনেক কথা বলেন। এটা তাদের বলার অধিকার আছে। তারা বলতে পারেন আমরা তো আর সে রকম জবাব দিতে পারব না।
আমরা শ্রোতা হিসেবে অত্যন্ত উত্তম। আমরা শুনেই যাব এবং আমরা যথারীতি আইন মোতাবেক কাজ করেই যাব। আমরা মোটেও হুমকি মনে করি না। কারণ তারা তো দেশদ্রোহী না, দেশপ্রেমিক। তাদের এগুলোকে আমি হুমকি মনে করি না। তারাও দেশপ্রেমিক, উনারাও দেশের মঙ্গল চান, দেশের ভালো চান। যে ধরনের কর্মকাণ্ড করলে দেশের মঙ্গল হবে, সেটা তারাও বোঝেন। আমি এটাকে দেশের জন্য হুমকি মনে করি না আমাদের জন্য কোনো হুমকি মনে করি না।’



