শ্রী রামকে নিয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি

রামের জন্ম ও তার জন্মস্থান অযোধ্যা নিয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির ‘মিথ্যা’ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান।

তারা বলেন, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি সম্প্রতি বলেছেন, হিন্দু ধর্মের অন্যতম অবতার রাম নেপালের রাজপুত্র ছিলেন এবং অযোধ্যার অবস্থান নেপালেই ছিল। তার এ বক্তব্য মানুষের বিশ্বাসের ওপর আঘাত। অনতিবিলম্বে তার এ বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে সমমনা হিন্দু সংগঠনগুলো নিয়ে বাংলাদেশস্থ নেপালের হাইকমিশন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেওয়া হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সাবেক রাষ্ট্রদূত নিমচন্দ্র ভৌমিক, হিন্দুধর্ম সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক ডা. মৃত্যুঞ্জয় কুমার রায় ও সিনিয়র সহ-সভাপতি বিমল কৃষ্ণ শীল প্রমুখ।

নিমচন্দ্র ভৌমিক বলেন, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য আমরা আশা করিনি। আমরা এ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাই।

মনোরঞ্জন ঘোষাল বলেন, কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী এমন কথা বলতে পারেন, তা আমার আগে ধারণা ছিল না। নেপাল এখন ভারত রেখে চীনের দিকে ঘেঁষছে। সেজন্যই রামের জন্মস্থান নিয়ে নতুন গল্প ফেঁদেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে তিনি ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তার বক্তব্য ইতিহাস বিবর্জিত।

বিমল কৃষ্ণ শীল বলেন, আমাদের মনের, বিবেকের অস্তিত্ব অযোধ্যা ভারতে অবস্থিত। আমরা ভারতবর্ষের সঙ্গে আছি। ছোটবেলা থেকে যে সত্য জেনে এসেছি, সেই সত্যের সঙ্গে আছি। আমাদের ধর্ম বিশ্বাসকে কেউ বিতর্কিত করতে পারবে না।

মৃত্যুঞ্জয় কুমার রায় বলেন, নেপালের প্রধানমন্ত্রী এত বড় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে যে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না। অনতিবিলেম্বে তার এ বিতর্কিত বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।