প্রধানমন্ত্রীর আরব আমিরাত সফরকে ঘিরেই চলছে ভিসা খোলার গুঞ্জন!

দীর্ঘ প্রায় সাত বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশের শ্রমবাজার। নতুন শ্রমিক ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধের পাশাপাশি দেশটিতে বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ মালিক পরিবর্তনের সুযোগও। কূটনৈতিক মহলের খবর, প্রধানমন্ত্রীর আমিরাত সফরকালে প্রবাসীদের শ্রমবাজারের বন্ধ দুয়ার খুলে যাওয়ার প্রত্যাশা ক্রমশই দৃঢ় হচ্ছে।

শনিবার সন্ধ্যায় আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে রোববার প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ও সফল এই এয়ার শো এবং মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকার বৃহত্তম এরোস্পেস ইভেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সফরকালে দুবাইয়ের শাসক ছাড়াও শেখ হাসিনা আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পরিবার উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সুপ্রিম চেয়ারপারসন শেখ ফাতিমা বিনতে মোবারকের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে ৩টি চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। এরমধ্যে দু’টি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এবং একটি প্রটোকল স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। এগুলো হলো- বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং আমিরাত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ ও আমিরাত অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের মধ্যে চুক্তি এবং আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের জন্য প্লট বরাদ্দের প্রটোকল। এছাড়াও সফরকালে শেখ হাসিনা আবুধাবিতে অনাবাসিক বাংলাদেশিদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রমও উদ্বোধন করবেন।

প্রসঙ্গত, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বর্তমানে সাত লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির বসবাস। ২০১২ সালে দ্বিতীয় রেমিটেন্স প্রেরণকারী এই দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে নানা জটিলতায় বিপাকে দিনাতিপাত করছেন দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ভিসা জটিলতায় অনেক শ্রমিককে ফিরতে হয়েছে দেশে। আবার কেউ কেউ ভাল চাকরি পেলেও অভ্যন্তরীণ মালিক পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় দীর্ঘ সময় ধরেই ভুগছেন হতাশায়। নতুন ভিসা নিয়ে যেতে আগ্রহীরাও অপেক্ষা করছেন ভিসা খোলার পথ চেয়ে।

দীর্ঘ অপেক্ষারত প্রবাসীদের প্রত্যাশা- এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে অন্তত শ্রমবাজার নিয়ে একটি সুখবর আসবে। শ্রমিক ভিসা পুরোপুরি খোলা না হলেও এতে অন্তত অভ্যন্তরীণ মালিক পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি হলে সাত লাখ শ্রমিকের মানসম্মত কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।

Scroll to Top