টি-টুয়েন্টির পর ওডিআই সিরিজও জিতে নিলো জিম্বাবুয়ে

ভাগ্য সাহসীদের পক্ষে যায় এবং জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রেগিস চাকাভার বেলায়ও তাই হয়েছে। ২৯১ রানের বড় লক্ষ্য মাথার ওপর। ওদিকে ৪ উইকেট নেই ৪৯ রানে। অধিনায়ক হিসেবে তিনি হাঁটতে পারতেন ‘সম্মানজনক হারের’ পথে। কিন্তু চাকাভা বেছে নিলেন ভয়ের পথটি। সঙ্গী হিসেবে পেলেন আত্মবিশ্বাসী সিকান্দার রাজাকে। দু’জন দুর্দান্ত ব্যাটিং করে, রেকর্ড জুটি গড়ে ৫ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছেন। এক ম্যাচ হাতে রেখে নয় বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেন।

২৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ৩ ওভারেই স্বাগতিক দল দুই উইকেট হারায়। টাইগার একাদশে সুযোগ পেয়েই জোড়া আঘাত হানেন পেসার হাসান মাহমুদ। এ ডানহাতি পেসারের দেখানো পথে হেঁটেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।

দুই স্পিনারের ঘূর্ণিতে দলীয় ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে জিম্বাবুয়ে। আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক সিকান্দার রাজা পঞ্চম উইকেট জুটিতে অধিনায়ক রেজিস চাকাভার সঙ্গে মিলে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন।

সফরকারীদের বোলার দেখে শুনে খেলতে থাকেন এ দুই ডানহাতি ব্যাটার। ২৬তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজ সহজ সুযোগ পেয়েও রাজাকে রান আউট করতে ব্যর্থ হন। প্রাণ ফিরে পেয়ে যেন জ্বলে উঠেন দুই ব্যাটারই।

টাইগার বোলারদের উপর এ জুটি রীতিমত তাণ্ডব চালিয়েছে। দুইজনই শতক তুলে নিয়েছেন। তাদের ২০১ রানের রেকর্ড জুটিতে সহজেই জয় পেয়ে যায় স্বাগতিক দল। ৭৫ বলে ১০২ রানের বিধংসী ইনিংস খেলেন চাকাভা। অপরদিকে রাজা অপরাজিত থাকেন ১১৭ রানে। শেষ দিকে ১৬ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন মানিয়োঙ্গা।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ উড়ন্ত সূচনা পায়। ইনিংসের নবম ওভারেই দলীয় ৫০ রান পূরণ করেন দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও তামিম ইকবাল।

কিন্তু মাঝ পথে সফরকারীরা খেয় হারিয়ে ফেলে। শেষ দিকে আফিফ হোসেনের ৪১ ও মাহমুদুল্লাহর ৮০ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ ২৯০ রানের পুঁজি পায়।

অপরাজিত ১১৭ রানের ইনিংস ও বল হাতে ৩টি উইকেট নিয়ে সিকান্দার রাজা হয়েছেন ম্যাচ সেরা।