রোনালদোর হ্যাটট্রিকে শেষ আটে জুভেন্টাস

অসম্ভবকে রোনালদো সম্ভব করে দেখাতে চান বলে ঘোষণা দেন একদিন আগে। এবার পর্তুগিজ তারকা রোনালদো সেটা করে দেখালেন। এই তুরিনে গত বছর রিয়ালের হয়ে জুভ দর্শকদের কাঁদিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই তুরিনে হ্যাটট্রিক করে জুভ দর্শকদের রোমাঞ্চে ভাসালেন সিআরসেভেন। বিদায় করে দিলেন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে। ওল্ড লেডিদের তুললেন চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে।

ম্যাচের পুরোটাই রোনালদোময়। শুরুতেই অবশ্য কিয়েল্লিনি গোল করেন। কিন্তু রোনালদো অ্যাথলেটিকো গোলরক্ষককে ফাউল করায় বাতিল হয় গোলটি। পরে ম্যাচের ২৭ মিনিটে দুর্দান্ত এক হেডে গোল করে তুরিনের দর্শকদের জাগিয়ে তোলেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।


\"\"

দ্বিতীয়ার্ধের ৪৯ মিনিটে গোল করে দুই লেগ মিলিয়ে ২-২ এ সমতায় ফেরে ওল্ড লেডিরা। ম্যাচ যখন জমে গেছে। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর অপেক্ষা। তখনই পেনাল্টি থেকে গোল করে সাবেক নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিদায় করে দারুণ রোমাঞ্চের গল্প লিখলেন রোনালদো।  জানিয়ে দিলেন ইউরোপ সেরার এই প্রতিযোগিতায় রাজা তিনি।

\"\"

অথচ এই রাজাকে প্রথম লেগে পাত্তাই দেয়নি অ্যাথলেটিকো। মাদ্রিদে ফিরে ২-০ গোলে হারতে হয় জুভদের। অপমান নিয়ে ফিরতে হয় জুভ তারকার। রোনালদো বাধ্য হয়ে হাতের পাঁচ আঙুল দেখিয়ে বলতে বাধ্য হন, আমার পাঁচটি ইউরোপ সেরার ট্রফি আছে। তোমাদের একটিও না। এরপর ঘরের মাঠে হ্যাটট্রিক করে উচিত জবাব দিলেন এই পর্তুগিজ যুবরাজ।

\"\"

দুর্দান্ত এই পারফর্মে রোনালদো চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসির সমান আটটি হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলেন। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় তার গোল ১২৪টি। আর অ্যাথলেটিকোর গোল ১১৮টি। এছাড়া ফুটবলের চতুর্থ দল হিসেবে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে জিতেও নকআউট পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া দল তারা। সিমিওনের দল গোলে শট নিতে পারেনি একটিও। ২০০৮ সালের পর চ্যাম্পিয়নস লিগে এমন আর দেখা যায়নি।

Scroll to Top