ক্রিকেটাররা রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন, হোটেলে কান্না

নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার ঘটনায় অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটররা মসজিদের খুব কাছ থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরে এসেছেন। তারা দেখেছেন অনেক রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে। এ দৃশ্য দেখে এসে টিম হোটেলে কান্নায় ভেঙে পড়েন ক্রিকেটাররা।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) জুমার নামাজের সময় এই গোলাগুলি শুরু হয়। এক বন্দুকধারী জুম্মার আযানের পর স্থানীয় আল নুর মসজিদে হামলা চালায়। হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন। ৩ বাংলাদেশিসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

বাংলাদেশ দলের বাস তখন মসজিদের সামনে। ক্রিকেটাররা বাস থেকে নেমে মসজিদে ঢুকবেন, এমন সময় রক্তাক্ত শরীরের একজন মহিলা ভেতর থেকে টলোমলো পায়ে বেরিয়ে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান। ক্রিকেটাররা তখনো বুঝতে পারেননি ঘটনা কী। তারা হয়তো মসজিদে ঢুকেই যেতেন, যদি না বাসের পাশের একটা গাড়ি থেকে এক ভদ্রমহিলা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বলতেন, ‘ভেতরে গোলাগুলি হয়েছে। আমার গাড়িতেও গুলি লেগেছে। তোমরা ভেতরে ঢোকো না।’

এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন খেলোয়াড়েরা। পরে দৌড়ে টিম বাসের মধ্যে ঢুকে যান এবং বাসের মেঝেতে শুয়ে পড়ে। ক্রিকেটাররা তখন বাসেই অবরুদ্ধ হয়ে আটকা পড়ে থাকেন বেশ কিছুক্ষণ। কারণ পুলিশ ততক্ষণে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। বাসে বসেই তারা দেখতে পান, মসজিদের সামনে অনেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। অনেকে রক্তাক্ত শরীর নিয়ে বেরিয়ে আসছেন মসজিদ থেকে। যা দেখে আতঙ্কে অস্থির হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। কারণ বাসে কোনো নিরাপত্তাকর্মী দূরে থাক, স্থানীয় লিয়াজোঁ অফিসারও ছিলেন না।

বাংলাদেশ দলের মসজিদে ঢোকার কথা ছিল দুপুর দেড়টায়। সংবাদ সম্মেলন শেষ করে যেতে যেতে ১টা ৪০ বেজে যায়। বাংলাদেশ দলের বাস আর ২ মিনিট আগে মসজিদে পৌঁছে গেলে ক্রিকেটাররা সন্ত্রাসী হামলার সময় মসজিদের ভেতরেই থাকতেন। তাহলে কী হতে পারত, আর যা দেখেছেন-দুটি মিলিয়ে মুশফিকুর রহিম হাঁটতে হাঁটতেই অঝোরে কাঁদতে শুরু করেন।