তীব্র রোদ, ভ্যাপসা গরম, সাগর উত্তাল; সাগর পাড়ে সৃষ্টি হয়েছে গর্তও। তাই সৈকতের বালুচরে টানানো হয়েছে লাল পতাকা। তবে এসব উপেক্ষা করেই ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটকরা মেতেছেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের নোনাজলে। একই সঙ্গে বালিয়াড়িতে মেতেছেন ছবি তোলা কিংবা ঘোড়ার পিঠে। তবে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে লাইফ গার্ড সংস্থা ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ছুটে এসেছে হাজার হাজার পর্যটক। মেতেছেন ঈদ আনন্দে। রোববার (৮ জুন) সৈকতের ৩টি পয়েন্টের নোনাজলে দেখা যায়, হাজার হাজার পর্যটক মেতেছেন সমুদ্রস্নানে। অনেকেই টিউবে গা ভাসিয়েছে কেউবা ব্যস্ত প্রিয় মুহুর্তগুলো ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি করতে।
নোনাজলে যেন অনেকেই প্রশান্তি খুঁজছেন। নোনাজল থেকে উঠে অনেক পর্যটক খেলছেন বালুচরের বালু নিয়ে, তৈরি করছেন বালির ঘর। আর ঢেউ এসে ভেঙ্গে দিচ্ছে বালির ঘরটি। অনেক পর্যটক চড়ছেন ঘোড়ার পিঠে কিংবা বিচ বাইকে। অনেকেই কিটকটে বসে উপভোগ করছেন সমুদ্র। এভাবে আনন্দে মেতে রয়েছেন ভ্রমণপিপাসুরা।
ঢাকা থেকে আসা মীর মাহবুব বলেন, টানা ছুটিতে পরিবারকে সময় দিতে কক্সবাজার ছুটে এসেছি। এখানে এসে সমুদ্রস্নান, ছবি তোলা থেকে শুরু করে ঘোড়া চড়ে মজা করছি। তীব্র গরম, তারপরও মনে হচ্ছে আবহাওয়া অনেক ভালো।
আরেক পর্যটক সোয়েব করিম বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় লাল পতাকা টানানো হয়েছে বালুচরে। কিন্তু ঈদ আনন্দ কি এসব মানে। তাই সমুদ্র নেমে গোসল করছি, আনন্দে মেতে রয়েছি বন্ধুদের সঙ্গে।
এদিকে সবচেয়ে বেশি পর্যটক মাতোয়ারা নোনাজলে। তাই এসব পর্যটকের সমুদ্রস্নানে নিরাপত্তায় লাইফ গার্ড কর্মীরা নিয়েছে ৩ স্তরের ব্যবস্থা। আর বালিয়াড়ি থেকে হোটেল-মোটেল জোনে তৎপর ট্যুরিস্ট পুলিশ।
সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার ইনচার্জ মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ৩টি পয়েন্টে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। তাই সৈকতের বালুচরে লাল পতাকা টানানো হয়েছে পর্যটকদের সতর্ক করতে। কিন্তু কেউ তো তা মানছেন না। তাই লাইফ গার্ড কর্মীরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। সমুদ্রস্নানে দুর্ঘটনা এড়াতে ৩ স্তরের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের উপপরিদর্শক সুব্রত কুমার বাড়ই বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ভ্রমণকে আনন্দমুখর করতে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি সৈকতের প্রতিটি গোলঘরে পুলিশ অবস্থান করছে। একদিকে মোবাইল টিম অন্যদিকে সাদা পোশাকে পুলিশ সমুদ্র সৈকতে ঘুরছেন।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ছাড়াও পর্যটকরা ঘুরছেন হিমছড়ি, ইনানী, পাতুয়ার টেক ও মেরিন ড্রাইভ।