বার্ধক্যকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে দিব্যি নেচে চলেছেন তারা!

ধূসর চুল, সাদা শাড়ি, তোবড়ানো গাল, বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন। বয়স একেক জনের আশি কিংবা নব্বই ছুঁই ছুঁই হবে। থাকেন বৃদ্ধাশ্রমে। কিন্তু তাতে কী? মনের দিক থেকে তারা যেনো এখনো ষোড়শী। বার্ধক্যকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি নেচে চলেছেন গানের তালে তালে।

ভারতের গুয়াহাটির এক বৃদ্ধাশ্রমের ঘটনা। নাম মাদার ওল্ড এজ হোম। সন্তানদের অবহেলাতেই হোক কিংবা পারিবারিক অশান্তির বেড়াজাল থেকে বেরোতে, নিজের ভিটে-মাটি ছেড়ে অনেকেরই বর্তমান ঠিকানা হয়ে উঠেছে গুয়াহাটির এই বৃদ্ধাশ্রম। স্বজন দূর করেছে তো তাতে কী? নিজের মতো করে শান্তি কিংবা আনন্দ খুঁজে নিতে তো দোষ নেই। তারা কিন্তু কারও পরোয়া না করেই দিব্যি হাসিমুখে থেকে নিষ্ঠুর সমাজকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে ‘তারাও পারেন’।

এমন ঘটনারই সাক্ষী থেকেছে গুয়াহাটির ‘মাদার ওল্ড এজ হোম’। সম্প্রতি সেই বৃদ্ধাশ্রমেই আয়োজন করা হয়েছিল এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানের। আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া, অসমিয়া গান-নাচে জমে উঠেছিল আসর। সেখানেই দুই বৃদ্ধার নাচ তাক লাগিয়ে দিয়েছে নেটিজেনদের।

\"বার্ধক্যকে

বৃদ্ধাদের সেই নাচের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বৃদ্ধাশ্রমের অফিশিয়াল পেজ থেকে তুমুলভাবে ভাইরাল হতে শুরু করে সেটি। দুই সঞ্চালকের সঞ্চালনায় এবং গানে বৃদ্ধাশ্রমের হল ঘর তখন জমজমাট। বয়সকে তোয়াক্কা না করেই চেয়ার ছেড়ে উঠে আসলেন বৃ্দ্ধারা।

কোমড় নুইয়ে পড়েছে, চুলে ধরেছে পাক, কিন্তু তবুও গানের তালে তালে নাচ থামাতে পারেনি বার্ধক্য। বৃষ্টিভেজা মেঘলা দিনে মন খারাপ হলে দেখে নিন মন ভালো করা এই ভিডিওটি। বৃদ্ধা নয় বরং তাদের বলুন ‘উড়ন্ত প্রজাপতি’। সাদাকালো জীবনে নিজেরাই নিজেদের মতো করে রং ভরে নিয়েছেন। এঁকে নিয়েছেন নিজেদের হাসিখুশি মুখের প্রোর্ট্রেট।ইত্তেফাক

Scroll to Top