বৈরুতে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০০

গত মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০০ জনে। এছাড়াও আহত হয়েছে ৫ হাজারের বেশি নাগরিক।

বৈরুতের গভর্নর মারওয়ান আবুদ জানান, এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। তাদের অনেকেই প্রবাসী কর্মী। এই বিস্ফোরণের একেবারে কেন্দ্রে সেনাবাহিনী উদ্ধার তৎপরতার অংশ হিসেবে যে তল্লাশি চালাচ্ছিল তা শেষ বলে জানিয়েছে।

গত মঙ্গলবার ভয়াবহ দুটি বিস্ফোরণের পর লেবাননের শহরটি কেঁপে উঠে। বিস্ফোরণের শব্দে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে। ১৫০ মাইল দূরের এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়। মঙ্গলবার বৈরুতের বন্দরের একটি রাসায়নিকের গুদাম থেকে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। গুদামটিতে প্রায় ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুদ ছিল এবং তাই বিস্ফোরিত হয়েছিল।

এত বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য মজুতের জন্য সরকারের অবহেলাকে দায়ী করে দেশজুড়ে বিক্ষোভে নামে লেবাননবাসী।

ক্ষোভে ফেটে পড়া জনগণ সরকারের পদত্যাগ দাবি করে। বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় লেবাননের পার্লামেন্টের নয়জন সদস্য এবং দুইজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।

এদিকে বৈরুতে রবিবার আবারও দ্বিতীয় রাতের মতো সহিংসতা হয়েছে। সেখানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এই বিপর্যয় মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ জনগণ। ১১ জন মন্ত্রী-এমপির পদত্যাগেও তাদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি।

এ বিস্ফোরণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ সদস্যসহ ১০৮ প্রবাসী আহত হন। মারা গেছেন পাঁচজন। আহত বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশটির তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।