একাধিক প্রেমিকা থাকাই কাল হলো এই জঙ্গির

খবর-সংবাদ প্রতিদিন'র

কথায় বলে, প্রেমের ফাঁদে পাতা ভুবনে। আর সেই প্রেমের ফাঁদে পা দেওয়াটাই কাল হল জইশ-ই-মোহম্মদের সিনিয়র কমান্ডার উমের খালিদের।

প্রেমিকার সাহায্যেই এই জঙ্গিকে খতম করল ভারতের সেনাবাহিনী।

আর এরই মধ্য দিয়ে সোমবার কাশ্মীরে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে সেনাবাহিনী। সকালে খবর আসে, উত্তর কাশ্মীরের বারামুলার রফিয়াবাদের লাডুয়া এলাকায় লুকিয়ে আছে। এরপরই অভিযানে নামে সেনাবাহিনী। ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। বিপদ বুঝে পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরাও। দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়।

জানা যায়, গুলির লড়াই চলার সময়ে জইশ কমান্ডার উমের খালিদকে প্রথমে চিহ্নিত করেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু, আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়নি উমের খালিদ। উল্টো অন্য জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়ে গুলি চালাতে শুরু করে সে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলাগুলিতে জখম হলেও, একসময় পালিয়ে গিয়েছিল এই জঙ্গি। কিন্তু, অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই উমের খালিদকে ঘিরে ফেলে গুলি চালান সৈন্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় উমের খালিদ।

তবে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বারামুলার রফিয়াবাদের লাডুয়া এলাকায় যে জঙ্গিরা জড়ো হয়েছিল, তাদের মধ্যে যে উমের খালিদ আছে, সে খবর সেনাবাহিনীর কাছে ছিল। ওই সেনা কর্মকর্তার দাবি, উমের খালিদের এক প্রেমিকাই পুলিশকে জানিয়েছিলেন, সোমবার সকালে তার কাছে আসতে পারে খালিদ।

কিন্তু, উমের খালিদের গতিবিধি কেন পুলিশকে জানিয়ে দিলেন তার প্রেমিকা? ওই সেনা কর্মকর্তা জানান, কাশ্মীরে নতুন ও পুরনো মিলিয়ে ১৭ জন প্রেমিকা ছিল উমের খালিদের। তাদের কারও কারও সঙ্গে প্রেমে প্রতারণা করেছিল সে। সাবেক প্রেমিকাদের কয়েকজন প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য উমের খালিদের গতিবিধি সম্পর্কে পুলিশকে তথ্য দিতে শুরু করে।

সেনা সূত্রে জানা যায়, উমের খালিদ পাকিস্তানের নাগরিক। গত বছরের অক্টোবরে কাশ্মীরে এই জঙ্গি নেতার উপস্থিতি টের পান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। দিন কয়েক আগে শ্রীনগর বিমানবন্দরের কাছে বিএসএফের একটি ছাউনিতে জঙ্গি হামলা হয়। ঘটনার দায় স্বীকার করে জইশ-ই-মোহম্মদ।

সেনা সূত্রে আরও জানা যায়, সেই হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল এই উমের খালেদ। এক মাস আগে পুলওয়ামার জেলা পুলিশ লাইনে জঙ্গি হামলার পিছনেও এই জঙ্গি নেতার হাত ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ১০ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ