থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) শুরু করার জন্য লেটার অফ ইনটেন্ট (লোল) স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি থাইল্যান্ডের বেসরকারি খাতকে ব্যবসা, বিনিয়োগ এবং অংশীদারিত্বের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রণোদনার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করার আহ্বান জানান যা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। উপরন্তু, তিনি বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বন্ধন জোরদার করার উপায় হিসেবে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে এক ব্যবসায়িক সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত ১৫ বছরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে বাংলাদেশের সফল স্নাতক হওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্যই ঘটেছে বলে জানান।

আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের গুরুত্ব তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) শুরু করার জন্য লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করে সন্তোষ প্রকাশ করেন হাছান মাহমুদ। তিনি থাইল্যান্ডের বেসরকারি খাতকে ব্যবসা, বিনিয়োগ এবং অংশীদারিত্বের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রণোদনার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করার আহ্বান জানান যা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।

এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বন্ধন জোরদার করার উপায় হিসেবে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রদত্ত প্রণোদনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি থাই সরকারের কাছ থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার উপকৃত হতে পারে বলে মত দেন এবং বাংলাদেশের পর্যটন খাতে থাই বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এছাড়া আলোচনা সভায় থাইল্যান্ডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল হাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর উপস্থিত ছিলেন।