আমেরিকার নতুন ফার্স্টলেডি জিল বাইডেনের অজানা কথা

আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেন। শনিবার পেনসিলভেনিয়ার ফল ঘোষণার পরে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, আমেরিকায় ট্রাম্প পর্বের অবসান ঘটতে চলেছে। জয়ী ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেন। কয়েক মাস আগে ডেমোক্রেটিক পার্টির কনভেনশনে জো বাইডেন নিজের স্ত্রীর পরিচয়টা এভাবে দিয়েছিলেন তিনি-

‘দেশজুড়ে আপনার যারা আছেন তাদের সবাইকে বলছি, আপনাদের সেই প্রিয় শিক্ষকটির কথা ভাবুন যিনি নিজেকে বিশ্বাস করার মতো আস্থা আপনাদের মধ্যে সৃষ্টি করেছিলেন। জিল বাইডেন তেমনই এক ফার্স্টলেডি হবেন।’

নতুন মার্কিন ফার্স্টলেডি জিল জ্যাকবসের জন্ম ১৯৫১ সালের জুনে নিউ জার্সিতে। পাঁচ বোনের মধ্যে বড় জিল বেড়ে উঠেছিলেন ফিলাডেলফিয়ার উইলো গ্রোভ শহরে। জো বাইডেন অবশ্য জিলের দ্বিতীয় স্বামী। এর আগে প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড় বিল স্টিভেনসনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল।

১৯৭২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রথম স্ত্রী ও এক বছরের কন্যা সন্তানকে হারান জো বাইডেন। এই দুর্ঘটনার তিন বছর পর বাইডেনের ভাইয়ের মাধ্যমে পরিচয় হয় জিলের। ওই সময় সিনেটর ছিলেন বাইডেন আর জিল তখনও কলেজছাত্রী।

শেষ পর্যন্ত ১৯৭৫ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে বিয়ে হয় বাইডেন ও জিলের। ১৯৮২ সালে এই দম্পতির কন্যা সন্তান অ্যাশলির জন্ম হয়।

৬৯ বছর বয়সী জিল কয়েক দশক কাটিয়েছেন শিক্ষকতা পেশায়। দুই বিষয়ে স্নাতোকোত্তর এই নারী ২০০৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব দিলাওয়ার থেকে শিক্ষায় ডক্টরেট করেছেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসের আগে তিনি একটি কমিউনিটি কলেজ, একটি সরকারি স্কুল ও কিশোরদের একটি মানসিক হাসপাতালে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৯১ থেকে ৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি দিলওয়ারের ব্রান্ডিওয়াই হাইস্কুলে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ওবামা আমলে তার স্বামী যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তখন তিনি নর্দার্ন ভার্জিনিয়া কমিউনিটি কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।