লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের খবর সঠিক নয়, চীনা গণমাধ্যমের দাবি

থামছেই না ভারত-চীনের সীমান্ত উত্তেজনা। পূর্ব লাদাখে ভারত ও চীনের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে সমঝোতার খবর উড়িয়ে দিল চীনা সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’। জল্পনা উসকে দৈনিকটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন ‘ভুয়া খবর’ দুই দেশের মধ্যে সমস্যা আরও জটিল করবে।

সম্প্রতি ভারতীয় সেনার সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই-সহ একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করার বিষয়ে রাজি হয়েছে দুই দেশ।

উল্লেখ্য, প্যাংগং হ্রদের উত্তর পারে ফিঙ্গার ৪ থেকে ৮ পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে চীন। পাল্টা গত আগস্ট মাসে হ্রদটির দক্ষিণ পারের পাহাড় চুড়োগুলোর দখল নিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

চীনের দাবি, ভারত আগে দক্ষিণ পার থেকে সেনা সরিয়ে নিক। জবাবে ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় গত এপ্রিল-মে মাসের অবস্থানে ফিরে যাক চীনা বাহিনী। এমন টানাপোড়েনের মাঝেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে, প্যাংগং-চুশুল এলাকায় সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে দুই দেশ।

সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এপর্যন্ত ৮ দফা সামরিক বৈঠক হয়েছে চীন ও ভারতের মধ্যে। ৬ নভেম্বর চুশুল বর্ডার পয়েন্টে অষ্টম দফার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক হয় ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে। ওই বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নবীন শ্রীবাস্তব ও ডিরেক্টরেট জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস-এর ব্রিগেডিয়ার ঘাই।

ওই বৈঠকের পর সরকার দাবি করে, বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই পক্ষের মধ্যে গঠনমূলক ও গভীর আলোচনা হয়েছে। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা ও যোগাযোগ বজায় রাখতে রাজি হয়েছে দুই দেশ। কিন্তু তারপরই চীনা সরকারি সংবাদমাধ্যমের এমন দাবিতে রীতিমতো জল্পনা তৈরি হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, নয়াদিল্লির ওপর চাপ তৈরি করতে এটা বেইজিংয়ের একটা কৌশল।