তুর্কি বংশোদ্ভূত উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতনে চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা

যতোই দিন যাচ্ছে মধ্য এশিয়ায় বসবাসরত তুর্কি বংশোদ্ভূত উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতনের অভিযোগে বিশ্বব্যাপী তোপ বাড়ছে চীনের ওপর। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার পর এবার ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ চীনের ওপর জারি করেছে নিষেধাজ্ঞা। যা নিয়ে বিপাকে বেইজিং। এ অবস্থায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মুসলিমদের নির্যাতন ও অধিকারহরণের সাজা চীনকে পেতেই হবে।

জিনজিয়াং প্রদেশের সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর চীনের আগ্রাসন বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। সম্প্রতি যা আরও বেড়েছে। হচ্ছে কৌশলগত নির্যাতন। জানা গেছে, বাবা-মায়ের কাছ থেকে সন্তানদের জোর করে কেড়ে নিয়ে এতিমখানায় পাঠানোর বিষয়টি।

তাছাড়া এলাকাছাড়া করার উদ্দেশ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে অনেককে। রয়েছে ধর্ম পালনে বাধা। যা নিয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে উদ্বেগ। পশ্চিমা দেশগুলোও জানিয়েছে নিন্দা। ওই অঞ্চলে প্রতিনিধি দল পাঠাতে চায় জাতিসংঘ। আর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার পর এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নও নিয়েছে ব্যবস্থা।

তিন দশকেরও বেশি সময় পর আবারও মুখোমুখি অবস্থানে ইইউ ও চীন। উইঘুর মুসলিমদের নিপীড়ন ইস্যুতে রীতিমতো পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুই পক্ষ।

সোমবার চীনের শীর্ষ নিরাপত্তা পরিচালকসহ চার কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপের কয়েকটি দেশ। ওই কর্মকর্তারা সরাসরি নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত। নিষেধাজ্ঞার আওতায়, ভ্রমণ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের বিষয়টি পড়বে বলে জানানো হয়।

এ অবস্থায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে চীনকে আরও কঠোর সাজার মুখোমুখি হতে হবে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, ব্রিটেনও তার মিত্রদের সঙ্গে একযোগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘন মেনে নিতে পারি না। বেইজিংকে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে।

চীনে প্রায় দেড় কোটি উইঘুর মুসলমানের বাস। জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশই উইঘুর মুসলিম। এই প্রদেশটি তিব্বতের মতো স্বশাসিত একটি অঞ্চল। কিন্তু সেটিকে চীন একটি উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করে রেখেছে। কিন্তু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে শি জিনপিং সরকার।

Scroll to Top