উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা

পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র চীনের উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে গভীর উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা। তারা সব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে চীনে অবাধ প্রবেশাধিকারের দাবি করেছেন।

বুধবার (৩১ মার্চ) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলেন, চীনা ও বিদেশি মিলিয়ে ১৫০ এরও বেশি কোম্পানি উইঘুর শ্রমিকদের সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞদের প্রাপ্ত তথ্য এসব অভিযোগকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করেছে।

ব্যবসা ও মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের কার্যকরী গ্রুপ বলছে, আমরা এসব অভিযোগ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা চীন সরকারের সঙ্গে আমাদের সংলাপ জোরদার করতে প্রস্তুত। এই অভিযোগগুলোর প্রতি সরকারের তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এবং আমাদের সঙ্গে গঠনমূলক কাজ অব্যাহত রাখার ইচ্ছাকে স্বাগত জানাই।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, চীনের উইঘুর শ্রমিকদের শোষণমূলক কাজ এবং অবমাননাকর জীবনযাপনে বাধ্য করা হয়েছে। জোর করে শ্রম ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বিচারে আটকে রাখা, মানব পাচার এবং দাসত্বের কাজ করানো হচ্ছে তাদের দিয়ে।

গণমাধ্যম থেকে আরও জানা যায়, কয়েক হাজার উইঘুরকে পুনঃশিক্ষাশিবিরের নামে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এমনকি চীনের অন্যান্য প্রদেশের কারখানায় কাজ করাতে তাদের জোর করে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা চীন সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কাছেও চিঠি লিখেছেন যারা চীনের অভ্যন্তরে ও বাইরে উইঘুরদের অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

এর আগে সোমবার (২৯ মার্চ) জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক সাক্ষাৎকারে জানায়, চীনের উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করা হচ্ছে; সেটা খতিয়ে দেখতে বেইজিংয়ের সঙ্গে জাতিসংঘ আলোচনা শুরু করেছে।