অবশেষে ইরাক ছাড়তে সম্মত মার্কিন বাহিনী

মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্র ইরাকে মোতায়েন থাকা মার্কিন ও জোট বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহারের বিষয়ে একমত হয়েছে ওয়াশিংটন ও বাগদাদ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে কবে নাগাদ তারা ইরাক ছাড়বে সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু ইরাক ছাড়ার আগ পর্যন্ত ইরাকি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাবে মার্কিন বাহিনী।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের অধীনে প্রথম ‘কৌশলগত আলোচনার’ পর দুই দেশ একটি যৌথ বিবৃতিতে বুধবার জানিয়েছে, ইরাকের সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি হয়েছে। উভয়পক্ষ এ বিষয়ে একমত হয়েছে যে এখন মার্কিন ও জোট বাহিনীর মিশন হচ্ছে কেবল প্রশিক্ষণ এবং উপদেশ দেয়া। যার ফলে ইরাকে থাকা বাহিনীর বাকি সদস্যদের পুনঃমোতায়েন পথ তৈরি হলো।

বাহিনীর সদস্যরা কবে নাগাদ ইরাক ছাড়বে তা আসন্ন টেকনিক্যাল বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। মার্কিন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক বাহিনী তাদের সামরিক অপারেশন থেকে এখন প্রশিক্ষণ, ইকুইপিং এবং ইরাক সিকিউরিটি ফোর্সেসকে (আইএসএফ) সহায়তায় মনোনিবেশ করছে, এটা আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সফলতার প্রতিফলন। আর আইএস যেন ইরাকের স্থিতিশীলতা আর কখনও ব্যাহত করতে না পারে সেজন্য আইএসএফ’কে সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ভার্চুয়ালি এই আলোচনা চলছে। গত বছরের জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এই আলোচনা শুরু হয়। তবে বুধবারের আলোচনায় ইরাকে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কিরবি বলেছেন, এই বিবৃতি মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার বিষয়ের প্রতিফলন না।

পরে ইরাকি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহইয়া রাসুল বলেন, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাদিমি একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। এই কমিটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টেকনিক্যাল আলোচনা করবে। তাদের কাজ হবে মূলত মার্কিন সেনাদের পুনঃমোতায়েন সংক্রান্ত সময় ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা।