সামরিক উত্তেজনা কমাতে ভারত-পাকিস্তানের ‘গোপন’ বৈঠক

কাশ্মীর নিয়ে সামরিক উত্তেজনা কমিয়ে আনতে ভারত-পাকিস্তানের ‘গোপন’ বৈঠক হয়েছে। গত জানুয়ারিতে দুবাইয়ে এই গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর প্রকাশ করেছে।

খবরে বলা হয়েছে, দুই দেশই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বেশ কয়েক মাস ধরেই তারা এই বিষয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে এই বিষয়টি দুই দেশেই তাদের সাধারণ নাগরিকদের লোকচক্ষুর আড়ালেই ঘটাতে চেয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তানের কাশ্মীর সমস্যা বহু পুরনো। ২০১৯-এ যে পুলওয়ামা হামলা হয়েছিল, তার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ফের একবার তলানিতে গিয়ে ঠেকে। এরপর পাল্টা এয়ারস্ট্রাইক ও একাধিক কার্যকলাপে এই মুহূর্তেও পারমানবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কোনো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি।

এমনকি ভারত যখন কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা সরিয়ে নেয় তখন পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পারমাণবিক হামলার হুমকিও দেওয়া হয়। যদিও সেই হামলা হলে ভারতও যে তৈরি তা বলেছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধানরাও।

বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই গরম আবহের মধ্যে দুই দেশের প্রতিনিধিরা সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর জন্য বৈঠকে বসার ব্যাপারটি সমগ্র এশিয়ার জন্য এক দারুণ বার্তা। ধীরে ধীরে যাতে এই দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের উন্নতি হয় সেই নিয়েই দুবাইয়ে এই বৈঠক হয় বলে রয়টার্স জানায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কলকাতা২৪ জানিয়েছে, রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী দুই দেশ জানুয়ারিতে সীমান্ত নিয়ে বৈঠকের পরও কাশ্মীর সীমান্তে এখনও কড়া পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়তে হচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে একদিন শেলিং হামলায় বিরতি থাকলেও পাক মদদপুষ্ট বলে দাবি জঙ্গি সংগঠনগুলো কিন্তু কাশ্মীরে নিজেদের সক্রিয় রেখেছে। যার জেরে একের পর এক এনকাউন্টারের ঘটনা সামনে আসছে। প্রায়ই গোলাগুলি হয় কাশ্মীরে। কাশ্মীরের এই সমস্যা আদৌ মেটে কিনা, বা মিটলেও সেই দিন কবে সে দিকেই তাকিয়ে কাশ্মীরবাসী।