ব্রাজিলে চল্লিশের কম বয়সীরা মহামারি করোনার উচ্চঝুঁকিতে

দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র ব্রাজিলে গত সপ্তাহে যারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন তারা অধিকাংশই তরুণ, যাদের বয়স চল্লিশের নিচে। দেশটির ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন অ্যাসোসিয়েশন বলছে, হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তরুণ রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে আইসিইউতে চাপ বাড়ছে।

ব্রাজিলের এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে জানান, তরুণ জনগোষ্ঠী এত বেশি কোভিডে কেন আক্রান্ত হচ্ছে, তা বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। তবে করোনার যে ভিন্ন ধরন দেখা যাচ্ছে আক্রান্তের কারণ সেটা হতে পারে।

এ কথা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন সাও পাউলো ইউনিভার্সিটির সংক্রামক বিশেষজ্ঞ মারকাস বাউলোস। তিনি বলেন, এটি করোনার নতুন ধরন বা স্ট্রেইনের সঙ্গে পরিষ্কারভাবে জড়িত।

ব্রাজিলে ভয়ংকর এই স্ট্রেইনটির নাম পি.১। এটি ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্ট নামেও পরিচিত।

ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্ট এখন পর্যন্ত ৩৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠে আবার আক্রান্ত হচ্ছেন তার কারণ এই ভ্যারিয়েন্ট।

ব্রাজিলিয়ান গবেষক ফিলিপ নাভেকা জানান, অতি সংক্রামক এই ভ্যারিয়ান্টের অনেক ক্ষমতা। এটি করোনাভাইরাসের টিকার কার্যকারিতাকেও হার মানায়।

আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিল এখন পর্যন্ত করোনায় এক কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪২ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪ জনের।