করোনাঃ স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা আছে পর্তুগালের মসজিদগুলো

মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব এবং জনমনে তৈরি করেছে অস্থিরতা। ধর্মীয়় উপাসনালয়গুলোতে রয়েছে সীমিত পরিসরে প্রবেশের অনুমতি।

পবিত্র রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা যেভাবে মসজিদে এবাদত বন্দেগিতে মগ্ন থাকতো, গত দু’বছর তা আর পরিলক্ষিত হচ্ছে না দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের রাষ্ট্র পর্তুগালের মসজিদগুলোতে। বিশেষ করে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিচালনায় দু’টি মসজিদ রয়েছে। তার মধ্যে প্রবাসী বাঙালিদের পরিচালিত একটি মসজিদের নাম- বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার বায়তুল মোকাররম মসজিদ।

যেখানে প্রতি বছর ইফতারের আয়োজন এবং খতমে তারাবির নামাজ আদায়ের আয়োজন করা হয়। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে এ বছর ইফতার আয়োজন বাতিল করা হলেও স্বল্প সংখ্যক উপস্থিতি নিয়ে খতম তারাবি পড়ানো হচ্ছে। তবে সরকারের বেঁধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধির কারণে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই সীমিত মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে।

পর্তুগালে বিগত বছরগুলোতে প্রবাস জীবনের যান্ত্রিকতাময় দিনগুলোতে ইফতার আর তারাবি নামাজ শেষে এই সময়টাতে প্রবাসী বাঙালিরা মিলিত হতো একে অপরের সঙ্গে। পুরো পরিবেশ পরিণত হতো এক ভিন্ন আমেজে। কিন্তু গত দু’বছর এর চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন।

বিশেষ করে লিসবনের এশিয়ান এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশে সবাই যখন মসজিদটিতে মিলিত হতো, তখন মনে হতো যেন এক খণ্ড বাংলাদেশ।

লিসবনের বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সভাপতি রানা তাসলিম উদ্দিন জানান, ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সরকারের বিধি-নিষেধ মেনে চলার কারণে অনেকে মসজিদে আসতে পারছে না। তাছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাও এখন জরুরি। ঘরে বসে এবাদত করলেও মহান রাব্বুল আল-আমিন নিশ্চয়ই সবার এবাদত কবুল করবেন।

তিনি আরও জানান, বৈশ্বিক মহামারির করোনামুক্ত হয়ে সারা বিশ্বে সবকিছু আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে আল্লাহর কাছে এটাই প্রার্থনা। সিয়াম সাধনার এই মাসে সংযম আর আত্মশুদ্ধির মধ্য দিয়ে যাবতীয় ভোগ বিলাস, অন্যায়, অপরাধ, হিংসা, বিদ্বেষ, সংঘাত পরিহার করে ব্যক্তিগত ও সমাজ জীবনে বয়ে নিয়ে আসবে শান্তির বার্তা, পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিদের এমনটাই প্রত্যাশা।