সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষে মিয়ানমারে নিহত ৪০

মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে। ওই সংঘর্ষের পর জঙ্গল থেকে অন্তত ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। খবরটি সংবাদমাধ্যম রয়টার্স দিলেও এর সত্যতা তারা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।

এদিকে জাতিসংঘকে সতর্ক করে রাষ্ট্রদূত কিওয়া মোয়ে তুন বলেছেন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারে গণহত্যা চালাচ্ছে। তিনি জাতিসংঘে নিয়োজিত মিয়ানমারের দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এক চিঠিতে তিনি বলেন, অবৈধ সরকার দেশটিতে গণহত্যা মেতে উঠেছে। জান্তা তাকে রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে বহিষ্কার করলেও দায়িত্ব থেকে সরে যেতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অংক হ্লাইং চলতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারে ক্ষমতা দখল করে। সম্প্রতি তিনি অন্তর্বর্তীকালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এদিকে অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটির বিভিন্ন শহরে সেনাবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আট শতাধিক লোক নিহত হয়েছে। এ ছাড়া অনেকে আহত হয়েছেন।

সম্প্রতি মিয়ানমারে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী সক্রিয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তৎপর হয়েছে। খবরে বলা হয়, সামরিক শাসনের বিরোধিতায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো জোট বাধার পর সম্প্রতি মিয়ানমারের স্যাগাইং শহরের কানি এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। কানির বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের পর অন্তত ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কানি মিলিশিয়া গোষ্ঠীর একজন সদস্য বলেন, বর্তমানে ওই এলাকায় লড়াই কার্যত বন্ধ আছে। তবে আরও মরদেহ পাওয়া যাবে কিনা, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে সেনা প্রধান টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, চলমান জরুরি অবস্থার মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। এরপর তিনি বহু দলীয় নির্বাচনের অঙ্গীকার করেছেন। তবে অং সান সুচির দলকে তিনি সন্ত্রাসী বলে বর্ণনা করেছেন।