তালেবান আবারও আনছে চোরের হাত কাটার আইন!

আফগানিস্তানের পুরো নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হাতে নেয়ার পর তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছে। তবে এখনো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা গঠন করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানও পিছিয়েছে।

এদিকে তালেবান গোষ্ঠী জানাচ্ছে, মার্কিন সামরিক অভিযানের আগে তালেবানের ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় গঠন করা ‘ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রচার ও অপকর্ম প্রতিরোধ’ মন্ত্রণালয় আবারো তারা গঠন করবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। মার্কিন সামরিক অভিযানের আগে তালেবান আমলে ‘ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রচার ও অপকর্ম প্রতিরোধ’ নামের ওই মন্ত্রণালয় পুরুষ সঙ্গী ছাড়া নারীদের বাইরে বের হওয়া এবং গান, বাজনাসহ যে কোনও ধরনের বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছিল।

ওই মন্ত্রণালয় ধর্মীয় পুলিশ নামে এক সংস্থা করেছিল। এটি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। আফগানিস্তানের সেন্ট্রাল জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মোহাম্মদ ইউসুফ নিউইয়র্ক পোস্টকে জানান , ইসলামি আইন অনুসারে অপকর্মকারীদের শাস্তি দেওয়া হবে।

ইউসুফ বলেন, যদি কোনও খুনি ইচ্ছাকৃতভাবে খুন করে তাহলে তাকে হত্যা করা হবে। কিন্তু যদি ইচ্ছাকৃত না হয় তাহলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধসহ অন্যান্য শাস্তি দেওয়া হতে পারে।

ওই তালেবান কর্মকর্তা জানান, চুরি করলে চোরের হাত কেটে ফেলা হবে এবং যারা অবৈধ যৌন সম্পর্কে জড়িত থাকবে তাদের ওপর পাথর নিক্ষেপ করা হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই ইসলামি আইন ও বিধিতে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ । শান্তি ও ইসলামি শাসন আমাদের একমাত্র চাওয়া।

তিনি আরও বলেন, কোন অপরাধের বিচারের জন্যে চার সাক্ষী থাকতে হবে। যদি সাক্ষীদের বয়ানে সামান্য পার্থক্য থাকে তাহলে কোনও শাস্তি হবে না। কিন্তু যদি সবাই একই কথা বলে তাহলে শাস্তি হবে। সুপ্রিম কোর্ট এমন বিষয়ের দেখাশোনা করবে। তারা যদি দোষী হয়, তাহলে শাস্তি পাবে।

সংবাদ সূত্রঃ নিউইয়র্ক পোস্ট/ হিন্দুস্তান টাইমস