ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধে জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও তা ছড়িয়ে পারতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনটি হলে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম ১৫০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বিশ্বব্যাংক এ সতর্ক বার্তা দিয়েছে।

ব্যবসাভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, ১৯৭৩ সালে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দেয় তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক। পরিপ্রেক্ষিতে ঘোষণা করে, ইসরায়েলকে সমর্থনদানকারী কোনও দেশে জ্বালানি পণ্যটি সরবরাহ করবে না তারা।

ওপেকের অধিকাংশ সদস্যই ছিল আরব রাষ্ট্র। এতে যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিম ইউরোপ ও জাপানে তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যটির মূল্য নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয় ওপেক।

তেলের ওপর বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর নির্ভরতার সুযোগে একচেটিয়াভাবে দাম বাড়িয়ে দেয় ওপেকভুক্ত দেশগুলো। এক লাফে ৪ গুণ বেড়ে যায়। ফলে পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনীতি ও রাজনীতিতে সংকটের সূচনা হয়।

সবশেষ কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক উল্লেখ করেছে, আবার তেমনটি হলে বিশ্ববাজারে তেলের দর রেকর্ড উচ্চতায় উঠবে। ব্যারেলপ্রতি মূল্য পৌঁছতে পারে ১৫৭ ডলারে, যা হবে সর্বকালের সর্বোচ্চ।

লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ গ্রুপের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্ব ইতিহাসে তেলের সবচেয়ে বেশি দাম ১৪৭ ডলার ৫ সেন্ট। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক মন্দা চলাকালে এ নজির দেখা যায়।

বিশ্বব্যাংক বলছে, ১৯৭৩ সালের মতো আরব দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দিলে তেলের দাম ব্যাপক বেড়ে যাবে। কারণ, দৈনিক ৬ থেকে ৮ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের সরবরাহ কমবে।

বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তেমনটি ঘটলে জ্বালানি পণ্যটির দর ৫৬ থেকে ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে ব্যারেলে মূল্য দাঁড়াবে ১৪০ থেকে ১৫৭ ডলারে।