চীনে ভয়াবহ ভূমিধস: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনান প্রদেশে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জনে। এখনও দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে নিখোঁজদের সন্ধান করছে উদ্ধার কর্মীরা। খবর বিবিসি।

এর আগে, গতকাল সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোর স্থানীয় সময় ৫টা ৫১ মিনিটে ইউনান প্রদেশের জেনসিয়ং নগরীতে ভূমিধসে ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১৮ টি বাড়ির ৪৭ জন মানুষ চাপা পড়েছিল। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে ১১ টি মরদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধার কর্মীরা।

স্থানীয় সময় গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে ইউনান প্রদেশের ঝাওটং জেলার লিয়াংশুই গ্রামে ভূমিধসের ঘটনায় ৪৭ জন মাটির নিচে চাপা পড়ে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সর্বশক্তি দিয়ে নিখোঁজদের উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন। চীনা ভাইস প্রিমিয়ার ঝাং গুওকিং উদ্ধার অভিযান তদারকির জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। উদ্ধারকৃতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

চীনা সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির বরাতে মার্কিন নিউজ চ্যালেন সিএনএন জানিয়েছে, ১ হাজার জনেরও বেশি উদ্ধারকর্মী ও ৪৫টি উদ্ধারকারী কুকুর চাপাপড়া লোকদের উদ্ধারে কাজ করছে। এ দুর্ঘটনায় ১৮টি বাড়ি মাটিতে মিশে গেছে ও ৫০০ জনেরও বেশি লোককে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, একটি খাড়া পাহাড়ের চুড়ার পতনের ফলে এই ভূমিধসের সূত্রপাত হয়, যেটি প্রায় ৩৩০ ফুট চওড়া ও ২০০ ফুট উঁচু ছিল। তবে চুড়াটি কীভাবে ভেঙে পড়লো, তা জানা যায়নি। বর্তমানে ওই এলাকার তাপমাত্রা শূন্যেরও নিচে। নিউজ চায়না এক স্থানীয় বাসিন্দার বরাত দিয়ে বলেছে, সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দাই বৃদ্ধ ও শিশু।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে, উদ্ধারকারীরা বরফে ঢাকা ধ্বংসস্তূপের ওপর দিয়ে হাঁটছেন। ভেঙে পড়া ভবনগুলোতে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তারা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন ওই ভূমিধস হয়েছে। প্রচণ্ড শব্দ হয়ে চারদিক কেঁপে ওঠে। প্রাথমিকভাবে সবাই ভেবেছিলেন, ভূমিকম্প হচ্ছে।

চীনের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলগুলো বেশ ভূমিধসপ্রবণ। বন্যাও হয় প্রায়ই। এই এলাকায় অনেক কয়লা খনিও রয়েছে। ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে একই এলাকায় আরেক ভূমিধসে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছিল।

এদিকে, সোমবার দিনগত ২টার দিকে চীনের জিনজিয়াংয়ের উশি কাউন্টিতে ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।