রমজানে আল আকসায় নামাজ পড়তে পারবেন ফিলিস্তিনিরা

রমজান মাসের প্রথম সপ্তাহে আল-আকসা মসজিদে নামাজ পড়তে পারবেন মুসল্লিরা। গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত জানানো হয়েছে।

প্রতি বছর রমজান মাসে লাখ লাখ মুসল্লি আসেন আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করতে। তবে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ও ফিলিস্তিনিদের সংঘাতের কারণে এ বছরের পরিস্থিতি খানিকটা ভিন্ন।

এ তকিছুর পরও আগের বছরের মত এবারও ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা পবিত্র রমজান মাসে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবেন। তবে প্রতি সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, \’বিগত বছরগুলোতে রমজানের প্রথম সপ্তাহে যত সংখ্যক মুসল্লি টেম্পল মাউন্টে (আল-আকসা) আসতেন, এ বছরও তাতে কোনো ব্যতিক্রম হবে না। তবে প্রতি সপ্তাহে জেরুজালেম ও টেম্পল মাউন্ট এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।\’

আরবি চান্দ্র বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, আগামী ১০ বা ১১ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাস। এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আসন্ন রমজানে আল-আকসায় মুসল্লিদের প্রবেশের পক্ষে ছিল না ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা।

কয়েক দিন আগে এক অনুষ্ঠানে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কট্টর ডানপন্থি রাজনীতিক ইতামার বেন গিভির বলেছিলেন, এবারের রমজানে আল-আকসায় পশ্চিম তীরের মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেয়া উচিত হবে না। প্রথমত, এটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ, আমরা এখন এই ঝুঁকি নিতে পারি না। দ্বিতীয়ত, যেখানে আমাদের নারী ও শিশুরা গাজায় জিম্মি হিসেবে আটক রয়েছে, সেখানে (রমজান মাসের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে) টেম্পল মাউন্টে হামাস তা উদযাপন করবে— এমনটাও আমরা হতে দিতে পারি না।\’

তার এই মন্তব্যের পর সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র রমজান মাসে আল আকসায় মুসল্লিদের নামাজ পড়তে দিতে ইসলায়েলকে আহ্বান জানায়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, \’এটি কেবল মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়াই নয়, বরং ইসরায়েলের নিরাপত্তার সঙ্গেও ব্যাপারটি সম্পর্কিত। পশ্চিম তীরে বা বৃহত্তর অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়ালে তা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।\’

গতকাল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে বিবৃতি দেয়ার কিছু সময় পর পৃথক এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে বলা হয়, \’ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য রমজান একটি পবিত্র মাস। বিগত বছর গুলোর মতে এ বছরও এই মাসের পবিত্রতা অক্ষুন্ন রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ইসরায়েল।\’

সূত্র : এএফপি, এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড

Scroll to Top