পাকিস্তানকে ১১০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে আইএমএফ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ১১০ কোটি ডলার পেতে যাচ্ছে পাকিস্তান। আজ কর্মী পর্যায়ে এ বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে দুইপক্ষ। আইএমএফের বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে এই অর্থ পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হবে।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

গত গ্রীষ্মে আইএমএফের কাছ থেকে ৩০০ কোটি ডলার বেলআউট ঋণ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে পাকিস্তান। এর মাধ্যমে দেউলিয়া হওয়া থেকে বেঁচে যায় দেশটি। এবারের ১১০ কোটি ডলার এই ঋণের সর্বশেষ কিস্তি। ইতোমধ্যে ইসলামাবাদ আরেকটি বেলআউট ঋণ পাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

আফগানিস্তানে পাকিস্তানি তালেবানের আস্তানায় হামলা, নিহত অন্তত ৮

আইএমএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, \’আইএমএফের প্রতিনিধিদল পাকিস্তানের স্থিতিশীলকরণ প্রকল্পের দ্বিতীয় ও সর্বশেষ নিরীক্ষা শেষে পাকিস্তানী কতৃপক্ষের সঙ্গে কর্মী পর্যায়ের চুক্তি করেছে।\’

\’এই চুক্তিটি আইএমএফের কার্যনির্বাহী পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে বাস্তবায়ন করা হবে\’, যোগ করে আইএমএফ। বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ১১ এপ্রিল শেষ হবে।

আইএমএফের ঋণের শর্তগুলো ঠিকভাবে পূরণ করা হয়েছে কী না, তা গত পাঁচ দিন ধরে নিরীক্ষা করেছেন সংস্থাটির প্রতিনিধিরা। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মাদ আওরঙ্গজেব বলেছেন, ইসলামাবাদ আরেকটি দীর্ঘ মেয়াদী বেলআউট চাইবে।

পাকিস্তানের অর্থনীতি দেনার দায়ে জর্জরিত। গত বছর অর্থনীতির আকার ০.২ শতাংশ কমেছে। এবার পূর্বাভাষ মতে দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।

গত কয়েক বছর ধরে দেশটির অর্থনীতি শুন্যের কোঠায় পৌঁছে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ব্যালেন্স অব পেমেন্ট সংকট, ২৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি, ২২ শতাংশ পলিসি সুদ হার ও স্থানীয় মুদ্রার ২২ শতাংশ অবমূল্যায়নের মতো জটিল ও দীর্ঘমেয়াদী সমস্যায় ভুগছে।

চুক্তি অনুযায়ী ঋণ পেতে পাকিস্তানকে আইএমএফের নানা শর্ত মানতে হয়েছে, যার মধ্যে আছে বাজেট সংস্কার, সুদের হার বাড়ানো, আরও কর আরোপ করে রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো।

Scroll to Top