ইসরাইলকে কঠোর জবাব দেয়ার আহ্বান ফরাসি আইনপ্রণেতাদের

ভিসা বাতিল করায় প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ২৭ ফরাসি আইনপ্রণেতা ও কর্মকর্তা। মিডল ইস্ট আই’র এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন মতে, ফ্রান্সের ২৭ আইনপ্রণেতা ও কর্মকর্তার একটি প্রতিনিধি দলের গত রোববার (২০ এপ্রিল) ইসরাইল ও অধিকৃত পশ্চিম তীর সফরে যাওয়ার কথা ছিল। সেই লক্ষ্যে সব প্রস্তুতিও শেষ করেছিল ফরাসি প্রতিনিধি দল।

এই দলে ফ্রান্সের ইকোলজিস্ট পার্টি এবং কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় কর্মকর্তা ও কয়েকজন মেয়রও ছিলেন। কিন্তু সফর শুরুর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রতিনিধি দলের সবার ভিসা বাতিল করে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা করেন, আগামী জুন মাসে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে তার দেশ। এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে ফরাসি প্রতিনিধি দলের ভিসা বাতিল করা হয়।

ইসরাইলের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন ফরাসি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তারা এই পদক্ষেপকে ‘সম্মিলিত শাস্তি’ অভিহিত করে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে কঠোর জবাব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রতিনিধি দল এক বিবৃতিতে বলেছেন, জেরুসালেমের ফরাসি কনস্যুলেট ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি অঞ্চলে তাদের পাঁচ দিনের সফরের আমন্ত্রণ জানায়। আমাদের প্রস্থানের ৪৮ ঘন্টা আগে ইসরাইলে প্রবেশের জন্য অনুমতি বাতিল করা ফরাসি রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং প্রজাতন্ত্রের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের ম্যান্ডেটের একটা চরম অবমাননা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এর জন্য আমাদের রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের একটি দ্ব্যর্থক অবস্থান প্রয়োজন।’

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত প্রায় দেড় বছর ধরে সামরিক আগ্রাসন ও নজিরবিহীন গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। এই আগ্রাসনে ইউরোপের একটা বড় অংশ সমর্থন জানিয়ে আসছে।

তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্যেই সমালোচনা করছেন কিছু পশ্চিমা আইনপ্রণেতা। যার ফলে চলতি এপ্রিলের শুরুতে দুই ব্রিটিশ সংসদ সদস্যকে ইসরাইলে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, তাদেরকে তৎক্ষণাৎ দেশে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দফতর বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ অভিহিত করে নিন্দা জানায়।

এর আগে ফরাসি এমপি রিমা হাসান, আইরিশ এমপি লিন বয়েলান এবং দুই ইইউ কর্মীকে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়। যার ফলে ইইউর একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল জেরুসালেম ও রামাল্লায় তাদের পরিকল্পিত সফর বাতিল করে।

Scroll to Top