ইরানে ইসরাইলের হামলা অব্যাহত থাকলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যুতে কোনো আলোচনায় অংশ নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে তেহরান। অপরদিকে এই মুহূর্তে ইরানে বিমান হামলা বন্ধ করতে ইসরাইলকে আহ্বান জানাবেন না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানে ইসরাইলি বিমান হামলা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে যখন ইউরোপীয় কূটনীতিকরা জোর আহ্বান জানাচ্ছেন, ঠিক সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলকে হামলা বন্ধ করতে বলবেন না।
ট্রাম্পের কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান, তিনি কি ইউরোপীয় নেতাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইসরাইলকে চাপ দেবেন যেন তারা হামলা কমিয়ে আনে এবং আলোচনার পথ খুলে দেয়।
জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এখনই এই অনুরোধ করা খুব কঠিন। ইসরায়েল এখন জিতছে এবং তারা খুব ভালো করছে। তাই জয়ী পক্ষকে এমন অবস্থায় কিছু বলা কঠিন।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যুদ্ধে ইসরাইল ভালো করছে, এবং… ইরান কম ভালো করছে। এই মুহূর্তে কাউকে থামানো একটু কঠিন।’
এটা স্পষ্ট যে, চলমান সংঘাত পরিস্থিতিতে ট্রাম্প পুরোপুরি ইসরাইলের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন। তিনি কূটনৈতিক সমাধানের পথে এখনই ঝুঁকছেন না, যদিও শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরও দুই সপ্তাহ সময় রাখছেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, আগ্রাসন বন্ধ হলে এবং যারা এই অপরাধ করেছে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হলে, ইরান আবারও কূটনৈতিক পথে ফেরার বিষয়ে প্রস্তুত।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং এটি সবসময় আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর তদারকি ও নজরদারির আওতায় পরিচালিত হয়ে আসছে। সুতরাং, কোনো গণবিধ্বংসী অস্ত্রচুক্তির অংশ না থাকা সত্ত্বেও একটি রাষ্ট্রের দ্বারা সংরক্ষিত পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো একটি গুরুতর অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।’