বেঞ্চে পিরিয়ডসের রক্ত, শিক্ষিকার বকায় ছাত্রীর আত্মহত্যা

ঋতুকালীন ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিল ১২ বছরের মেয়েটি। স্কুল ইউনিফর্ম এবং বসার জায়গাতেও লেগে গিয়েছিল ঋতুস্রাবের রক্ত। সেই নিয়ে হাসি মজা করছিল সহপাঠীরা। বকা দিয়েছিলেন শিক্ষিকাও। ক্লাস থেকে বেরিয়ে যেতেও বলেছিলেন। আর সেই দুঃখেই প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।

ভারতের তামিনলাড়ুর পালায়ামকোট্টাইয়ের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। পালায়ামকোট্টাইয়ের সেন্থিল নগর এলাকার একটি স্কুলে পড়ত ছাত্রীটি।

মঙ্গলবার স্কুলে যাওয়ার পরেই তার পিরিয়ডের ব্যথা শুরু হয়। জামাকাপড়েও রক্তের দাগ লেগে গিয়েছিল। সেই নিয়ে মজা করতে শুরু করে সহপাঠীরা। কয়েকজন সহপাঠী শিক্ষিকাকে বিষয়টি জানালে তিনিও মেয়েটিকে বকতে শুরু করেন।

ছাত্রীটি রেস্টরুমে যাওয়ার অনুমতি চাইলে আরও রেগে যান ওই শিক্ষিকা। তাকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সে কেন ঠিকমতো ন্যাপকিন ব্যবহার করেনি, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শিক্ষিকা।

মেয়েটির অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, স্কুলে কী হয়েছে বাড়ি ফিরে কিছুই জানায়নি সে। তবে খুব চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। রাতের বেলা কখন সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল তা-ও টের পাননি বাড়ির লোকজন।

পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীটি একটি সুইসাইড নোটও লিখে গিয়েছে। সেখানে স্কুলের শিক্ষিকার নামে যাবতীয় অভিযোগ করেছে মেয়েটি। ছাত্রীটি লিখেছে, আমি জানি না কী বলব। কখনও স্কুলে আমার নামে কোনও অভিযোগ আসেনি। কেন শিক্ষিকা আমাকে ও ভাবে বকলেন?

এ দিন স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, ৩১ আগস্ট, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে