‘লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের ময়দান

‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়ালমুলক্?, লা শারিকা লাকা’ (আমি হাজির! হে আল্লাহ আমি হাজির! তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার)।

আজ ৮ জিলহজ বৃহস্পতিবার ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম পবিত্র হজ। লাখো মুসলমানের (হাজী) কণ্ঠের এ ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের ময়দান। মধুধ্বনি-প্রতিধ্বনিতে পবিত্র আরাফাতের পাহাড় ঘেরা ময়দান ছাপিয়ে আকাশ-বাতাস মুখর ও প্রকম্পিত এখন।

ভাষা ও বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে বিশ্বের প্রায় ১৭১টি দেশের ২৫-৩০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালনের লক্ষ্যে মিনা থেকে আরাফাতে যাবেন। মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজ।

হজ অবস্থাপন্ন শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ মুসলমানদের জন্য অবশ্য পালনীয় ইবাদত। জীবনে অন্তত একবার হজ পালনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে মহান স্রষ্টার পক্ষ থেকে। কাবা কেন্দ্রিক মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক হিসেবে ভাবা হয় এই ইবাদতকে।

মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা দেবেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ আল শাইখ। আজ আরাফাতের ময়দানে খুতবার পর জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। তাঁরা সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। রাতে সেখানে অবস্থান করবেন খোলা মাঠে। শয়তানের প্রতিকৃতিতে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় পাথর সংগ্রহ করবেন সেখান থেকে।

মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা কেউ ট্রেনে, কেউ গাড়িতে, কেউ হেঁটে মিনায় যাবেন এবং নিজ নিজ তাঁবুতে ফিরবেন। মিনায় বড় শয়তানকে সাতটি পাথর মারার পর পশু কোরবানি দিয়ে মাথার চুল ছেঁটে (ন্যাড়া করে) গোসল করবেন। সেলাইবিহীন দুই টুকরো কাপড় বদল করবেন। এরপর স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ (কাবা শরিফ সাত চক্কর দেওয়াকে তাওয়াফ বলে) করবেন। কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সাঈ (সাতবার দৌড়াবেন) করবেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যত দিন থাকবেন, তত দিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর মারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, ৩১ আগস্ট ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ