মিয়ানমারকে শাস্তি ভোগ করতে হবে: আল কায়েদা

রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা থেকে বাচতে যে ৪ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে তাদের জন্য সহায়তার আহ্বান জানিয়েছ ইসলামি মদদপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা। একইসঙ্গে এই অপরাধের জন্য মিয়ানমারকে শাস্তি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে গোষ্ঠীটি।

গত ২৪ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি এবং একটি সেনা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর সেখানে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়। তখন থেকেই আরেক দফায় শুরু হয় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্রোত। পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা অভিযোগ করেছেন, বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমারের সেনাবাহিনী পুরুষদের ধরে ধরে নিয়ে হত্যা করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে আর মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দিচ্ছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ওয়ান-ইলেভেনে হামলার পেছনে থাকা এই ইসলামী গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে সারা বিশ্বের মুসলমানদের রোহিঙ্গাদের অস্ত্র, সাহায্য, সামরিক সহায়তা দিয়ে পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

আল-কায়েদা রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে বলেছে, ‘আমাদের মুসলিম ভাইদের ওপর ভয়ানক আচরণ করা হচ্ছে… কোনো ধরনের শাস্তি ছাড়া আমরা এটি ছেড়ে দেবো না।’ ‘মিয়ানমার মুসলিম ভাইদের জন্য যে ধরনের দুর্ভোগের পরিস্থিতি তৈরি করেছে, একই দুর্ভোগ তাদেরও মোকাবিলা করতে হবে।’

আল-কায়েদা বিবৃতিতে আরও বলে, ‘আমরা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও ফিলিপাইনের মুজাহিদ ভাইদের মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীর প্রস্তুতি নেওয়া, যাতে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়।’

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ১৩ সেপ্টেম্বর  ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসপি