সুন্দরী স্কুলছাত্রীদের ধরে নিয়ে যৌনদাসী বানান কিম জং উন

উত্তর কোরিয়ার সুন্দরী স্কুলছাত্রীদের ধরে এনে গোপন ডেরায় যৌনদাসী করে রাখেন দেশটির নেতা কিম জং উন বলে জানিয়েছেন দেশটি থেকে চলে যাওয়া ২৬ বছর বয়সী তরুণী হি ইয়ন লিম।

হি ইয়ন লিম বলেন, ‘পশ্চিমা গোয়েন্দাদের নজর ফাঁকি দিয়ে অনেক বিলাসবহুল গোপন ডেরা তৈরি করেছেন কিম। সেখানেই কিমের নির্দেশে স্কুলের ছাত্রীদের ধরে এনে যৌনদাসী করে রাখা হয়। নিজের যৌনদাসী হিসেবে স্কুলের সবচেয়ে সুন্দর ছাত্রীকে ধরে আনার নির্দেশ দেন তিনি। কিম মূলত সুন্দর পা দেখেই তাদের নির্বাচন করেন।’

তিনি জানান, তিনি যে স্কুলে পড়াশোনা করতেন, সেই স্কুল থেকেই অনেক মেয়েকে দেশটির নেতার নির্দেশে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বলা হতো কাজের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই মেয়েদের কাজ হলো নেতাকে খাওয়ানো ও তার শরীর মালিশ করা। যারা এতে আপত্তি জানাত, তাদের আর খুঁজে পাওয়া যেত না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হি ইয়ন লিমের বাবা উই ইয়ন লিম উত্তর কোরিয়া সেনাবাহিনীর কর্নেল ছিলেন। ওই সময় একটি অনুষ্ঠানে কিমের সঙ্গে দেখা হয়েছিল হির। কিমের অনেক বর্বর ঘটনার সাক্ষী তিনি। ৫১ বছর বয়সে ২০১৫ সালে বাবার মৃত্যুর পর হি ও তার পরিবার পালিয়ে চীনে চলে যান। সেখান থেকে গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে গিয়ে বসবাস শুরু করেন।

হি দাবি করেন, উত্তর কোরিয়ায় খুবই কঠোরভাবে গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। তাই যেকোনো সত্য তথ্য প্রতিষ্ঠা করাটা সেখানে খুবই কঠিন ব্যাপার।

এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির এশিয়া বিশেষজ্ঞ কলিন আলেসান্দর বলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ায় যৌনদাসী রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আমি দেশটিতে গোপন ডেরা ও যৌনদাসী থাকার বিষয়ে অনেক কিছু পড়েছি।’

চলতি সপ্তাহে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, শিশু যৌন নির্যাতন বন্ধে জাতিসংঘের উত্তর কোরিয়াকে চাপ দেওয়া উচিত। ২০০৮ সাল থেকে এ ধরনের চারটি ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিছু কিছু অভিভাবক পুলিশ বা সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানাতে চান না। কারণ তাদের ধারণা, পুলিশ বা সরকারি কর্মকর্তারা এসব ঘটনার সঠিক তদন্ত করবেন না।

যদিও উত্তর কোরিয়ার নেতারা বলছেন, তাদের দেশের নাগরিকের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো ‘অসম্ভব’ ব্যাপার।

বাংলাদেশ সময় : ১২৩৪ ঘণ্টা, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/ডিএ