আবহাওয়া: ২ দিন বিরতি দিয়ে ফের ভারী বর্ষণ

বৃষ্টি বা বর্ষণ একধরনের তরল, যা আকাশ থেকে মাধ্যাকর্ষণের টানে ভূপৃষ্ঠের দিকে পড়ে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মেঘের সৃষ্টি করে। এই ফোঁটাগুলি যথেষ্ট পরিমাণে ভারি হলে তা পৃথিবীর বুকে ঝরে পড়ে – একেই বলে বৃষ্টি। দু\’দিন বিরতি দিয়ে ফের শুরু হয়েছে ভারী বর্ষণ। দেশের কোথাও কোথাও অতিভারী বর্ষণ হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, ৯ জুনের দিকে বৃষ্টিপাত বাড়বে, এ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে ১১ জুন পর্যন্ত। সেই আভাসকে সত্য করেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ু তথা বর্ষা চলে এসেছে। এটি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই বৃষ্টিপাত বাড়ছে।

এদিকে ঢাকায় প্রতিবারের মতো এবারও মাঝারি ধরনের বর্ষণেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এর আগে দু\’দিন বৃষ্টিতে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে। প্রথম ভারী বর্ষণে গত ১ জুন দিনভর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ঢাকার মতো বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। দেশের অবশিষ্টাংশে মৌসুমি বায়ু আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে। মৌসুমি বায়ু দেশের পূর্বাঞ্চলের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে এটি মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।

এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১০ জুন) ভোর পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৬-১২ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা আকারে ঘণ্টায় ২৫-৩৫ কিলোটিমারে উঠে যেতে পারে।

শনিবার নাগাদ উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে।

আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে উত্তরবঙ্গে। তেঁতুলিয়ায় ১১১ মিলিমিটার বর্ষণ রেকর্ড করা হয়েছে।

Scroll to Top