মায়ানমারে ফের সংঘর্ষ, নিহত ৮৯

মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সীমান্ত পুলিশের ২৪টির বেশি চৌকিকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ কমপক্ষে ৮৯ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১২ জন মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও ৭৭ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহী রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির কার্যালয়। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুর নাগাদ নিরাপত্তা বাহিনীর ১১ সদস্য ও ২১ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরে বিকালে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৯ জনে।

সু চির কার্যালয়ের বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের ‌‘চরমপন্থী বাঙ্গালি বিদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে বলা হয়, রাত ১টায় তারা রাখাইনের মংডাও এলাকার একটি থানায় হাতবোমা নিক্ষেপ করে, এছাড়া তারা বিভিন্ন পুলিশ চৌকিতে সমন্বিত হামলা চালায়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার বিষয়ে শুক্রবার ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ)’ নামে একটি গ্রুপ দায় স্বীকার করেছে। উত্তর রাখাইনের প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকার মে ইউ ভিত্তিক এ গ্রুপটি আগে ‘হারাকা আল-ইয়াকিন’ নামে পরিচিত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে গত বছরের অক্টোবরে সীমান্ত পুলিশের চৌকিতে হামলার অভিযোগ রয়েছে।

এরআগে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চলকে বাইরে থেকে বিচ্ছিন্ন করে তাদের গ্রামে গ্রামে গণগ্রেপ্তার, হত্যা, নির্যাতন ও নারী-শিশুদের গণধর্ষণ করে মায়ানমারের সেনা ও পুলিশ সদস্যরা। এ অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা রাখাইন থেকে পালিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

রোহিঙ্গা বিরোধী দমনপীড়নের ঘটনায় নীরবতা অবলম্বন করে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন মায়ানমারের নোবেলজীয় গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অংসান সু চি। তার দল মায়ানমারের সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছে, তিনি সরকারের পরামর্শক হলেও সবকিছু তারই ইশারায় চলে বলে মনে করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ২৬ আগস্ট, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে

Scroll to Top