২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোবাবার (৭ এপ্রিল) ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এসময় দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে, কাজ করি একসঙ্গে’ যথার্থ ও সময়োচিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ অর্জন করেছে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড ও গ্যাভি অ্যাওয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার। তিনি বলেন, টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য ও বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ ‘ভ্যাকসিন হিরো’ নামে আখ্যায়িত হয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক আজ তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে বাংলাদেশের জয়লাভ স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত পনেরো বছরে চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন, পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল নিয়োগ, পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, নার্সিং সেবার উন্নয়ন, স্বাস্থ্য খাতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, আইন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে। তিনি বলেন, আমরা নতুন নার্সিং কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি এবং চিকিৎসকদের পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্সের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করেছি। হাসপাতালে রোগীদের সেবার জন্য চিকিৎসক, নার্স, সাধারণ বেড ও ওটি বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছি।