১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত এ রাজনীতিবিদের জন্ম ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারক স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান।
কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করার পর যোগ দেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। সেখান থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯১৩ সালে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বিজ্ঞান বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতক অর্জন করেন। এ ছাড়া এখানে তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন এবং ‘ব্যাচেলর অব সিভিল ল’ (বি. সি. এল.) ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯১৮ সালে গ্রে’স ইন হতে বার অ্যাট ল ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯২১ সালে কলকাতায় ফিরে এসে আইন পেশায় নিয়োজিত হন।
তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ফল ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট এবং অবিস্মরণীয় বিজয়। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় সুধীসমাজ তাকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করে থাকেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতে একটি হোটেলকক্ষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে তার সমাধি রয়েছে।






