তারেক রহমানের মহাপ্রত্যাবর্তনে নেতাকর্মীদের বাঁধভাঙা উল্লাস

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন শেষে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে দলের নেতা-কর্মীরা বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে ওঠে।

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে মায়ের কাছে ফিরেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মা, মাটি ও মানুষের দল বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতার দীর্ঘ নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে মহাপ্রত্যাবর্তনে দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে বাঁধভাঙা উল্লাস।

তাঁর সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।

বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বের হয়ে খালি জায়গায় খালি পায়ে মাটি স্পর্শ করে একমুঠো মাটি হাতে নেন তারেক রহমান। এরপর বুলেট প্রুফ গাড়ি বাদ দিয়ে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’
খচিত লাল সবুজ রংয়ের একটি বাসে চড়ে তাঁর জন্য অপেক্ষমাণ সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে রওনা হন। তাঁর সাথে বাসে রয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

পুরো রাস্তায় তিনি বাসটির সামনে থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।

এসময় বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়ে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত করে রাখে পুরো এলাকা।

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা-ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া দলের পক্ষ থেকেও কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। বিএনপির কান্ডারির প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে দলের সর্বত্র এখন বইছে খুশির জোয়ার।

উজ্জীবিত সব নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হওয়ায় তৃণমূল থেকে কেন্দ্র— সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে প্রাণচাঞ্চল্য।

আজ বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাঁকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ফ্লাইট নং বিজি-২০২ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব ও পরিবারের পক্ষে ফুলের মালা পরিয়ে তাঁকে বরণ করা হয়।

সেখানে সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তারেক রহমান। দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে রওনা হন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন।

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে বিমানবন্দরগামী ইনকামিং ও আউটগোয়িং সড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়েছেন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। স্লোগানে স্লোগানে মুখর পুরো বিমানবন্দর সড়ক।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তারেক রহমান যাবেন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসারত মা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এরপর সেখান থেকে বিমানবন্দর সড়ক হয়ে গুলশান-২ এ নিজ বাসভবনে যাবেন তারেক রহমান। এদিন আর অন্য কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না তিনি।

তারেক রহমানকে সংবর্ধনা দিতে আসা নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষরা জানান, তারেক রহমানকে বরণে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি। তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে যে প্রাণচাঞ্চল্য ও উল্লাস তারা দেখেছেন এটি ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে থাকবে। নেতাকর্মীদের এই উল্লাস আগামী নির্বাচনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তারা।

Scroll to Top