কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। শনিবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা সদরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির সদ্যঘোষিত প্রার্থী সৈয়দ এহসানুল হুদাকে তার নির্বাচনী এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বক্তারা সৈয়দ এহসানুল হুদার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে পূর্বে (প্রথমবার) ঘোষিত দলীয় প্রার্থী ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ইকবালকে অবিলম্বে মনোনয়ন ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। তাকে মনোনয়ন না দিলে বিএনপি থেকে গণপদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন তারা।

সমাবেশ শেষে একটি মশাল মিছিল বাজিতপুর পৌরশহর প্রদক্ষিণ করে ডাকবাংলার মাঠে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল ও সমাবেশে কয়েকশ নেতাকর্মী কাফনের কাপড় পরে অংশ নেন।

কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার আশায় নিজের বাবার গড়া রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ জাতীয় দল’ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা। একইসঙ্গে পুরনো রাজনৈতিক পরিচয় ছেড়ে বিএনপির সদস্যও হন ১২ দলীয় জোটের এ সমন্বয়ক। পরে কেন্দ্রীয় বিএনপি দ্বিতীয়বার ঘোষণা করে তাকে দলটির মনোনয়ন দেওয়া হয়।

এর আগে, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ইকবালকে প্রথমবার মনোনয়ন দিয়েছিল দলটি।

মনোনয়ন পাল্টানোয় তীব্র সমালোচনার হচ্ছে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনভুক্ত বাজিতপুর ও নিকলী উপজেলায়। দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের পর বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এসব কারণে আবারো দ্বন্দ্ব-সংঘাতেরও আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘বিএনপির পরীক্ষিত ও চরম দুঃসময়ের বন্ধু ইকবাল ভাইকেই দল প্রার্থী মনোনীত করায় তৃণমূল কর্মীরা উচ্ছ্বসিত ছিল। নির্বাচনের মাঠ গোছাতে যখন আমরা ব্যস্ত, এমন সময়ে মনোনয়ন পাল্টানোয় বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসছেন।’

তিনি বলেন, ‘তিনি (সৈয়দ এহসানুল হুদা) তো বিএনপির কেউ নন। কখনোই তিনি বিএনপির বিপদগ্রস্ত নেতাকর্মীদের পাশেও ছিলেন না। তিনি বিএনপির মতো দলের মনোনয়ন পান কীভাবে? বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আমরা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ইকবাল ভাই ছাড়া কাউকে বাজিতপুর-নিকলীর বিএনপি কখনোই মেনে নেবে না।’

Scroll to Top