গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারকে যুক্তরাজ্য স্বাগত জানিয়েছে

আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য উপায়ে করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারকে স্বাগত জানিয়েছেন সফররত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী (ইন্দো-প্যাসিফিক) অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্ত করা অঙ্গীকারকে আমি স্বাগত জানাই’।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য অংশিদারিত্ব’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে ট্রেভেলিয়ান একথা বলেন।

যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের ফলাফলে সব মহলের আস্থা বাড়াতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রস্তাব দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশকে সাহায্য করতে পারে। তিনি বলেন, গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সংসদীয় গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য দেশের সাংবিধানিক মূল্যবোধের প্রতি অঙ্গীকার প্রদর্শনের মূল ভিত্তি হবে।

এর আগে সফররত ব্রিটিশ মন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমি তাকে (ট্রেভেলিয়ান) বলেছি যে, আমরা একটি গ্রহনযোগ্য ও অবাধ নির্বাচন চাই। আমরা এই ধরনের নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছি।

মোমেন বলেন, তিনি ব্রিটিশ মন্ত্রীকে অবহিত করেছেন যে, সরকার একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে, যা সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং যে কোনও নির্বাচন পরিচালনার জন্য অবাধে কাজ করার দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বৈঠকে তারা মূলত রোহিঙ্গা সমস্যার বর্তমান পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন এবং যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সংকট সমাধানে ব্রিটিশ সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে প্রতিবেশী দেশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা দেখানোর জন্য রাখাইন রাজ্যের ইয়াঙ্গুনে অবস্থানরত বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রদূতসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সফরের ব্যবস্থা করেছে। মোমেন বলেন, আসুন ভালো খবরের (রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন) আশা করি।

নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাণিজ্য ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার ঢাকায় আসেন ট্রেভেলিয়ান। ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে, তখন এই সফরের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী বছরসহ আগামী বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক জোরদার করা।

সংবাদ সূত্রঃ বাসস