বঙ্গোপসাগরে ফের বেড়েছে জলদস্যুদের দৌরাত্ম্য

বঙ্গোপসাগরে ফের বেড়েছে জলদস্যুদের দৌরাত্ম্য। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটে নেয়া হচ্ছে ট্রলার, মাছ ও জ্বালানি তেল। সাম্প্রতিককালে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন জেলেরা।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে পায়রা বন্দর সংলগ্ন সাগর মোহনায় মাছ শিকার শেষে তীরে ফেরার পথে ‘এফবি মা’ নামের একটি ফিশিং বোটে জলদস্যুরা ছররা গুলি চালায়। এতে ট্রলারের জেলে জালাল শরীফ, শাহ আলম ও মিজানুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন। এসময় দস্যুরা জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রলারে থাকা ইলিশ ও জ্বালানি তেলসহ পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

জেলেরা জানান, সমুদ্রে ফিশিং বোট নিয়ে চলাচল করা জলদস্যুরা ট্রলার দেখে হঠাৎ হামলা চালায়। গুলি করে আতঙ্ক ছড়িয়ে মাছ, জ্বালানি তেল ও ট্রলার লুট করে পালায়। সমুদ্র উপকূলের নিকটবর্তী এলাকায় বারবার এমন হামলা হলেও প্রশাসনের কার্যকর তৎপরতা চোখে পড়ছে না।

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, ‘জেলে ট্রলারে জলদস্যুদের হামলার ঘটনা শুনেছি। আহত জেলেদের খোঁজ নিয়েছি এবং তাদের মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। দস্যুদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সমুদ্র নিরাপদ রাখতে পুলিশ, র‍্যাব, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে।’

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘জলদস্যুদের হামলার শিকার হওয়া জেলেদের খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। এছাড়া জেলেদের ঐক্যবদ্ধ থেকে মাছ শিকারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যাতে দস্যুরা হামলার সাহস না পায়।’

সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকায় একসময় জলদস্যুদের দাপট থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অভিযানে সমুদ্র কয়েক বছর নিরাপদ ছিল। তবে সাম্প্রতিক এক মাসে দস্যুদের উৎপাত আবার বাড়তে শুরু করেছে।

পটুয়াখালীতে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৮৬ হাজার। এর বাইরেও অর্ধলক্ষাধিক মানুষ মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

Scroll to Top